তীব্র তাপদাহে রেলের লাইনে সমস্যা হয় বিধায় আন্তঃনগর ট্রেনের গতি কমিয়ে ৪০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই গতি ঈদে শিডিউল বিপর্যয় করবে কি না জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এটা শিডিউল বিপর্যয় না। শিডিউল বিপর্যয় বলা হবে যখন কোনো দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন দেরি করবে। ট্রেন ৩০ মিনিট দেরি হলেই শিডিউল বিপর্যয় বলা হয়। এটা বলা মানে অবিচার করা। 
 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রী ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।



নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রী সেবার মান বাড়তে চাই আমরা। কোনো হয়রানি ছাড়া যেসব যাত্রীরা টিকিট কেটে যাবেন, তারা যেন নিরাপদে ও স্বাচ্ছ্যন্দে যেতে পারে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। অতীতের যে অভিজ্ঞতা, সেটা যেন সামনের দিনে গল্পের মতো শোনা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
 

তিনি বলেন, সারাবছর রেলকে একটা সিস্টেমে আনতে চাইলেও ঈদের সময় সেটি ভেঙে পড়ে। আর ভেঙে পড়ার কারণ টিকিটকেন্দ্রিক। এবার টিকিট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে শতভাগ। এখন আর আগের চিত্র নেই। শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে এখন আর স্টেশন কেন্দ্রিক ভিড় নেই। ঈদযাত্রায় যাতে বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারি। বানানো হয়েছে অস্থায়ী বাঁশের গেট। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে অতীত অভিজ্ঞতা ভুলিয়ে দিতে চাই।
 

ঈদ ২২ এপ্রিল না ২৩ এপ্রিল হবে তা নিয়ে দোটানায় আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি ঈদ ২৩ এপ্রিল হয় তাহলে ২২ তারিখের টিকিট বিক্রি হবে। সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবার বাড়তি এক্সেস কনট্রোল নেওয়া হচ্ছে। স্টেশনগুলোতে সেই ব্যবস্থা নেই। এবার বাইরে থেকেই গেট করা হচ্ছে। একদল যাত্রী যারা বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করে, এই পরিবেশ এবার বাইরে থেকেই আটকে দেওয়া হবে।


বিমানবন্দর স্টেশন সংস্কার করে নতুন করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার আগ পর্যন্ত যতটুকু করা যায় সেটা করা হচ্ছে। এরপর এটাকে মাল্টি মডেল হাব করা হবে। কমলাপুর স্টেশনের মতো বিমানবন্দরেও বাঁশের গেট বানানো হয়েছে।
 

মন্ত্রী বলেন, এবারের যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে তা আপনাদের মাধ্যমে ও আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারছি। যেগুলো উন্নতির দরকার সেগুলো উন্নতি করা হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এনটি


সূত্র : ঢাকা পোস্ট