সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ঈদের নামাজ শেষে জুতা রদবদলকে কেন্দ্র করে কাশেম হত্যাকান্ডে স্থানীয় মাইজখলা গ্রামের মৃত আশান আলীর পুত্র রহমত আলীকে প্রধান আসামি করে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জাহেদা খাতুন। নিহত আবুল কাশেম একই গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র। এদিকে মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মাথায় পুলিশ ৯জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
 

মামলা সুত্রে জানা যায়, মামলা-মোকদ্দমা ও গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রহমত আলী ও হানিফার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার ঈদের দিনে আবুল কাশেম তার আত্মীয় স্বজনসহ ঈদের নামাজ আদায় করতে মাইজখলা জামে মসজিদে যান। নিষেধ থাকা সত্বেও কেনো মসজিদে আসলেন, প্রতিপক্ষের এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করেন তারা। নামাজ শেষে আবুল কাশেম গংরা প্রতিপক্ষের আব্দুর রউফের কাছে তাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ প্রদানের কারণ জানতে চান। এসময় উভয়পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে রহমত আলীর হুকুমে আব্দুর রউফসহ তার আত্মীয় স্বজনরা এলোপাতাড়ি মারপিট শুরুসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবুল কাশেমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০জন আহত হন। আহত কাশেমকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর মামলা দায়ের ও ৯জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/পল্লব-৭