ভিনদেশি বধূ পেয়ে রাজার পরিবার জুড়ে বইছে খুশির বন্যা। হইচই পড়েছে পুরো এলাকায়। নববধূকে দেখতে ছুটে আসছেন অনেকেই। হবিগঞ্জের আব্দুর রকিম খান রাজা ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। এরপর ফাতিমের সঙ্গে তার পরিচয়। গত চার বছর ধরে তারা প্রেম করেছেন। কয়েকদিন আগে দুই পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে বাংলাদেশে আসেন।

মালয়েশিয়া থেকে চলে এসেছেন প্রেমিক, তাই বলে তাকে ছাড়েননি দেশটির তরুণী স্মৃতি নূর ফাতিম। প্রিয় মানুষটিকে বাঁধনে বাঁধতে তিনি নিজেই চলে এসেছেন হবিগঞ্জে।


গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার বাসিন্দা এই তরুণীর সঙ্গে হবিগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বানিয়াচং উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আব্দুর রকিব খান রাজার।

এর মধ্য দিয়ে চার বছরের প্রণয়ের সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিলেন এই যুগল।

এ বিয়েতে ফাতিমের বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইও আনন্দিত। মেয়ের সঙ্গে তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

ফাতিম অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ আমার ভাল লেগেছে। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়েতা ও সবার ভালবাসায় আমি মুগ্ধ। খাবারের মধ্যে এখানকার মাংসের কারি ও দই খুব ভাল লেগেছে।

বর আব্দুর রকিম খান রাজা জানান, বিয়ে করে তারা হবিগঞ্জ শহরে নিজ বাড়িতে থাকছেন। দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিছুদিন পর রাজা ফের মালয়েশিয়া চলে যাবেন এবং ফাতিম বাংলাদেশে থাকবেন। মালয়েশিয়ায় লেখাপড়া শেষে রাজা পুনরায় দেশে ফিরলে তারা এদেশে স্থায়ী হবেন।

রাজার মা বলেন, ভাবতেও পারিনি ফাতিম আমাদের সঙ্গে এতো সহজে মিশে যেতে পারবে। বিদেশি বউমা পেয়ে আমরা সবাই খুশি। অল্পসময়ের মধ্যেই সে সবাইকে আপন করে নিয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৮