বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে, যত ভালো ইসি হোক না কেন, তার পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচনকালীন প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে না। আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছরে প্রশাসনের সর্বত্র দলীয়করণ কায়েম করেছে। সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় লোকদের বসানো হয়েছে। এখন সরকারি অফিসে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মী ছাড়া অফিসার পাওয়া যায় না।
 

তিনি আরো বলেন, ‘দেশে নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে পরের দিন ওই ব্যালট পেপার গুনে ক্ষমতা দখলের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ সবার সামনে উঠে এসেছে। এর পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না।’ ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন আজ পুরোপুরি অনুপস্থিত। গুম, খুন, অপহরণ, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ ভুলুণ্ঠিত। বিচারের বাণী আজ নীরবে কাঁদছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সীমাহীন বৃদ্ধির কারণে আজ দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশ থেকে লুটেরা গোষ্ঠী হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। কেউ যেন দেখার নেই। ধীরে ধীরে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’
 


তিনি (৩০ এপ্রিল) রোববার বিকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলে বলেন।
 

দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালিক মাষ্টারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-দোয়ারাবাজার  উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মসব্বির, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম, বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ, আহবায়ক কমিটির সদস্য এইচ এম কামাল, জাকির হোসেন, সামছুল ইসলাম, আব্দুল হক, আমান উল্লাহ, ইসলাম, সদস্য তাইবুর রহমান, আফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা, নুর আলী ইমরান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন আকুল, পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ, দোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শওকত আহমদ, আব্দুল আলিম, জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান, বিএনপি নেতা মামুন আহমদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এরশাদুর রহমান এরশাদ মেম্বার, উপজেল যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, আব্দুল মছব্বির আলম, হাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন, জাহাঙ্গীর আলম পারভেজ, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শুকুর আলী, রাসেল আহমদ, অর্জুন দেব, ফারুক আহমেদ ফটিক, যুবদল নেতা হামদু মিয়া, জাকির হোসেন, জুয়েল আহমদ, সানোয়ার হোসেন, দোয়ারাবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক তারেক হোসাইন রাজ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তানভীর আহমেদ, বেলায়েত আহমেদ, মাহবুবুল হক শামীম, ইব্রাহিম আল মাসুম, আজিজুল হক সুমন, এনামুল হক ইমন প্রমুখ।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৩৫