ভারতের মণিপুর রাজ্যে মেতিস গোষ্ঠীর মানুষকে ‘স্কেজিউলড ট্রাইবে’ যুক্ত করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আর এ উত্তেজনা নিরসনে এবার মণিপুরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না সেখানেই গুলি চালাতে হবে।


নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ৫৫টি কলাম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে র‌্যাডিপ অ্যাকশন ফোর্সকে। পাশাপাশি আসাম রাইফেলস, স্থানীয় পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

মণিপুর রাজ্যে নাগাসম, জোমিস এবং কুর্কিসহ বেশ কয়েকটি উপজাতি সম্প্রদায় রয়েছে। তারা মেতিস গোষ্ঠীর মানুষকে স্কেজিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধীতা করেছে।

গত মাসে মণিপুর হাইকোর্ট মেতিস গোষ্ঠীকে স্কেডিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মেতিস গোষ্ঠীর মানুষ উপজাতি সম্প্রদায়ের না হওয়ায় তারা পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বসতি স্থাপন করতে পারে না। কিন্তু এখন আদালত তাদের স্কেজিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ায় তারা যে কোনো স্থানে বসতি স্থাপন করতে পারবেন। আর এ বিষয়টিরই বিরোধীতা করেছে উপজাতিরা।

বুধবার অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম) ‘উপজাতি সংহতি’ মিছিল করার ঘোষণা দেয়। সেটিতে বাধা দেয় মেতিসরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই দিনই রাজধানী ইম্ফালাসহ আটটি বিভাগে কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সংঘর্ষে যেসব মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে তাদের উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষে প্রাণহানী বা হতাহতের খবর এখনো জানা যায়নি। সূত্র: এনডিটিভি

সিলেটভিউ২৪.কম/মাহি