বিসিএস পরীক্ষার সময় কিছু প্রার্থী পরীক্ষার জন্য থাকা নির্ধারিত খাতার সঙ্গে বাইরে থেকে আনা অন্য পৃষ্ঠা যুক্ত করতে পারেন। এটি যাতে করতে না পারেন, সে জন্য বিশেষ আইন পাস করেছে সরকার। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে অধিকতর সতর্ক থাকার জন্য আইনটি পাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ রহিতপূর্বক যুগোপযোগী করে পুনঃপ্রণয়নকল্পে প্রণীত আইনে এ বিধান রাখা হয়েছে। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি আইনটি পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
 

আইনে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পরীক্ষাসংক্রান্ত উত্তরপত্র বা এর অংশবিশেষের পরিবর্তে অন্য কোনো উত্তরপত্র বা এর অংশ প্রতিস্থাপন করলে অথবা পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষার্থী লেখেননি, এমন উত্তরসংবলিত অতিরিক্ত পৃষ্ঠা কোনো উত্তরপত্রের সঙ্গে যুক্ত করলে এটি আইন অনুসারে অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য ওই প্রার্থী অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার সময় পরীক্ষকেরা এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছেন, যাতে দেখা গেছে, পরীক্ষার্থী বাইরে থেকে লিখে আনা পৃষ্ঠা বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত করেছেন।


এটি ওই পরীক্ষক বুঝলেন কীভাবে—জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পিএসসি একধরনের বিশেষ খাতা উত্তরপত্র আকারে সরবরাহ করে থাকে। সেই পৃষ্ঠাগুলো একটু ভিন্ন হয়। সেখানে অন্য ধরনের কাগজ যুক্ত করার কারণে পরীক্ষক বিষয়টি ধরে ফেলেন। এটি যে একবার হয়েছে, তা নয়, অনেকবার হয়েছে। পরীক্ষার হলে পরীক্ষক অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী পরীক্ষার্থী এই অপরাধগুলো করে থাকেন। এটি যাতে আর করতে না পারেন এবং করলেও যেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া যায়, তাই এ আইন পাস করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিসিএসে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি


সূত্র : প্রথম আলো