সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মুজাক্কির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রী ও নিজ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ম বহির্ভুতভাবে ভিজিডি কার্ড প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য মুজাক্কির হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজ ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলোর যথাযথ উপকারভোগীদের ভিজিডি কার্ড না দিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায় করে নিয়মবহির্ভুতভাবে এ কার্ড বিতরণ করেছেন। এছাড়াও তিনি সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ বণ্টনের ক্ষেত্রে মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩/২৪ইং সনের ১০টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়ে দুটি গ্রামের কোনো মানুষকে না দিয়ে ৯টি কার্ড-ই তার নিজ গ্রামের মামাতো ভাইদের স্ত্রী হাছিনা বেগম ও খালেদা বেগম এবং তার নিজ দুই চাচি রোজিনা বেগম ও ছালেখা বেগমের নামে কার্ড করেছেন। এছাড়াও তার নিকটাত্মীয় শিল্পী বেগম ও নাজমা বেগম, ধনাঢ্য মহিলা সুপ্তি রানী ও কাশিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী খালেদা বেগমকে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা মূলত এ ভিজিটি কার্ডের যথাযথ প্রাপক নন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার মুজাক্কির হোসেন বলেন, আমার উপড়ে আনিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমার ওয়ার্ডে কার্ড পাবার যোগ্য আছে ৪শ জন। ৯টা কার্ডে আর কয়জনকে বুঝ দিবো।
তিনি আরও বলেন, সুপ্তি রানির ঘর তার এক আত্মীয় দিয়েছে। তার স্বামী দরিদ্র দিনমজুর। তাই তাকে ভিজিডি কার্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে এরকম কোনো অভিযোগ আসেনি। আসলে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / শংকর / ডি.আর