থ্যালাসেমিয়া। একটি রোগের নাম। এটি মূলত বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। বলা হয়ে থাকে প্রতিরোধযোগ্য ‘নীরব ঘাতক’ এই রোগ। সারাদেশের মতো সিলেটেও এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে অনেকটা নীরবেই। তথ্য বলছে- গত তিন বছরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় তিন হাজার রোগী এ রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। আর এমন বাস্তবতায় আজ (৮ মে) সারাদেশের মতো সিলেটেও বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে। 

 


সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য বলছে, ১৪৮ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর তালিকা রয়েছে তাঁদের কাছে। এর মধ্যে নগরের অভ্যন্তরে রয়েছেন ২২ জন রয়েছেন।

 

সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসের ডা. স্বপ্লীন সৌরভ রায় সিলেটভিউকে বলেন, এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে মা-বাবা থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানের। তাই দুই বাহকের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়।

 

ডা. স্বপ্লীন জানান, এই রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় জন্ডিস ও ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, শিশুদের জন্ডিস এবং ত্বক ফ্যাকাশে দেখাতে পারে। বেশি পরিমাণে তন্দ্রা ও ক্লান্তি। বুকে ব্যথা। হাত পা ঠণ্ডা হয়ে যাওয়ার। নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটু সচেতন হলেই আমরা এ রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। আর অবশ্যই বিয়ের আগে সবার হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফরেসিস পরীক্ষার করা উচিৎ। তাহলে সন্তান সুস্থ থাকবে।

 

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড নেই জানিয়ে হাসপাতালটির হেমাটোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম বলেন, এই রোগীদের সাধারণত মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমাদের এই হাসপাতালে গত তিন বছরে প্রায় তিন হাজার রোগী এ রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। এ রোগের বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই।

 

এদিকে থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের উদ্যোগে শোভাযাত্রা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/কেআইএম