মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়  পরকীয়া জেরে খুন হয়েছেন নৈশপ্রহরী চম্পা লাল। চম্পা উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের ডলুবাড়ি ফলদ বাগানের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত।


খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত একই বাগানের অপর নৈশপ্রহরী বিশ্বনাথ তাঁতী পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।



তিনি বলেন, ‘রবিবার (১৪ মে) সকাল ৮টার দিকে চম্পা লাল মাথায় আঘাত নিয়ে শ্রীমঙ্গল হাসপাতালে মারা যাবার পর পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন। হত্যা ঘটনার ৮ ঘন্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিকেল ৪টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ পুলিশ জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাররতীয় সীমান্তবর্তী কোনাগাঁও গ্রাম থেকে ঘাতক বিশ্বনাথ তাঁতীকে গ্রেপ্তার করেন।’


জানা যায়, নিহত চা শ্রমিক চম্পা লাল ও বিশ্বনাথ তাঁতী শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুবাড়ি এলাকায় অবস্থিত জনৈক জনক দেববর্মার ফলদ বাগানে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল রবিবার (১৪ মে) সকাল পৌঁনে ৮টার দিকে বাগানে চম্পা লালকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনার পরপরই অপর নৈশপ্রহরী বিশ্বনাথ তাঁতী পালিয়ে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।


শ্রীমঙ্গল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফারজানা জানান, রবিবার সকাল ৮টার দিকে ডলুবাড়ি এলাকার জনক দেববর্মা অবচেতন অবস্থায় চম্পা লালকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে ১০ মিনিট পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আজ সোমবার মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি