কুলাউড়ার ঝিমাই পানজুম থেকে পান চুরির দায়ে পুঞ্জির মন্ত্রী রানা সুরংয়ের দায়ের করা মামলায় কয়েছ আহমদ নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে প্রধান আসামি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করায় এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে কয়েছ আহমদের বাড়িতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কয়েছ আহমদের ছোট বোন। কয়েছ উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের গাজীপুর (গাংপাড়) গ্রামের ইসমাইল উদ্দিনের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে কয়েছ আহমদের বোন বলেন, ঝিমাই পানজুম থেকে পান চুরিসহ জুমের পাহারাদার জুয়েল সুরংকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে আমার ভাই কয়েছ আহমদকে প্রধান আসামি করে পুঞ্জির মন্ত্রী রানা সুরং গত ২০ মে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন সন্ধ্যায় থানাপুলিশের একটি দল আমাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং আমার ভাই কয়েছ আহমদকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজতে থাকেন। এ ঘটনা সম্পর্কে কয়েছ আহমদ তথা আমাদের পরিবারের কেউই কিছু জানিনা।
তিনি বলেন, ২০ মে সকাল থেকেই আমার বড়ভাই কয়েছ আহমদ আমাদের বাড়িতে ফার্নিচার তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আমাদের বাড়ির লোকজনসহ পাশ্ববর্তী অনেকেই তা জানেন বা দেখেছেন। আমার বড়ভাই কয়েছ আহমদ এ রকমের কোনো ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে তিনি জোর দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ঝিমাই পুঞ্জির মন্ত্রী রানা সুরং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার বড়ভাই কয়েছ আহমদকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন।
তিনি ষড়যন্ত্রমূলক দায়ের করা মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা থেকে কয়েছ আহমদকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।
কয়েছ আহমদের পিতা ইসমাইল উদ্দিন তার ছেলে নির্দোষ এবং এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, মামলার বাদী রানা সুরং আসামিদের নাম দিয়েছেন। তারপরও তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/অনি/এসডি-৫০০