সিলেটের বিশ্বনাথে ‘সড়ক ও জনপদ (সওজ)’র জায়গায় পৌরসভার উদ্যোগে ‘বিশ্বনাথ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা’র সামন দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ‘মাদ্রাসা ও পৌরসভা’র বিরোধ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি হয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিদ এক সমঝোতা বৈঠকে দু’পক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া, থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সহ দপ্তর সম্পাদক নূরুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী, বিশ্বনাথ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, শিক্ষানুরাগী হাজী আব্দুল মন্নান, তাজ উদ্দিন।

সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা জহির উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির, বিশ্বনাথ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, বিশ্বনাথ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার মজলিসে সূরা সদস্য ফজর আলী, আব্দুল মন্নান, বিশ্বনাথ উপজেলা শ্রমিক ঐক্য জোটের উপদেষ্ঠা ময়না মিয়া, সমাজসেবক আলী হোসেন ইংরেজ, সংগঠক হেলাল মিয়া প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।

সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তগুলোহ হল- রাস্তা হবে মূল সড়ক ঘেষে পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসার সামনের গেইটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে। মাঝখানে খালি জায়গায় কোন পক্ষ কিংবা তৃতীয় কোন পক্ষ কোন দোকান বসাতে পারবেন না। মূল সড়কের পূর্ব পাশে খালি জায়গা থাকলে সেখানে পৌরকর্তৃপক্ষ দৃষ্ঠিনন্দন ও সুন্দর্য বর্ধনের জন্য লাইটিং ওয়াকওয়ে নিমার্ণ করবেন। মাদ্রাসার ছাত্র ও মসজিদে আসা মুসল্লিদের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না। দুই সড়কের মাঝখানে কিংবা অন্য খালি জায়গায় দোকান করা যাবে না মর্মে পৌর কর্তৃপক্ষ ও মাদ্রাসার সাথে একটি লিখিত চুক্তি করবেন। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষ সংবাদ সম্মেলন, স্যোসাল মিডিয়ায় কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারবেন না। সড়কের পাশের ফুটপাতের উপর ফলের দোকানগুলো সরিয়ে তাদের নিজস্ব জায়গায় ধানহাটার ফলপট্রিতে সরিয়ে দিয়ে ফুটপাত খালি করে জনসাধারণের চলাফেরা নিশ্চিত করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে দায়িত্ব দেয়া হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি