কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ইতোমধ্যে সিসিক নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম বাবুল ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।

 


ভোট গ্রহণের পূর্বে সাধারণ ভোটারের মধ্যে ইভিএম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারছেন ভোটার। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা ইভিএম নিয়ে বেশ কৌতূহলী। 

 

সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট দিতে আসা এক তরুণ জানান, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিতে পারে বেশ আনন্দ লাগছে। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছি।

জটিলতা ছাড়াই ভোট দিতে পারছেন বয়স্করাও। শিবগঞ্জ স্কলার্সহোমে ভোট দিতে আসা একজন জানান, ইভিএম নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তবে সহজেই ভোট দিতে পেরেছি।

 

তবে দুইটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে ধীরগতি দেখা গেছে। সিলেটের শাহ পরান থানা এলাকার বালুচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সিলেট সরকারি মডেল স্কুলের কেন্দ্রে বাহিরে ভোটারদের দীর্ঘ সময় বসে থাকতে দেখা গেছে।

 

ভোটার ও নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি ভালো থাকলেও ইভিএমে (ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন) অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে ভোট গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে ইভিএমে ভোট দিতে ভোটারদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

 

২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৯০টি যেখানে স্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ৯৫ টি।

 

১৯০টি কেন্দ্রে মোট ১৭৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ভোট পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় তদারকি করবে নির্বাচন কমিশন।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত