মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মিরতিংগা চা বাগানে বেতনসহ যাবতীয় পাওনাদি আদায়ের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েরেছ।
 

সোমবার (৬ মে) সকাল ১০ টায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের আয়োজনে ২ ঘন্টা কাজ বন্ধ করে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
 


মিরতিংগা চা বাগান ইউনিটের সদস্য মানিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মো. কামাল হোসেনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি শেখ কাওসার আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সুরঞ্জিত দাশ, সমাজসেবা সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মিরতিংগা ইউনিট প্রতিনিধি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য তরুন, ইউপি সদস্য ধনা বাউরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুলচন্দ্র তাঁতী, দীপ নারায়ন পাল, নওশাদ আহমদ, আমিরুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা সুলেমান মিয়া ও দিলীপ ঘোষ প্রমুখ।
 

সভায় বক্তরা বলেন, দেউন্ডি টি কোম্পানির মিরতিংগা চা বাগান ইউনিটির সদস্যরা ২০১৮ সাল থেকে বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন না। গত ৭ মাস আগ থেকে গ্যাস, পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, গত মার্চ মাস থেকে চা পাতার কলকারখানা বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় চা শ্রমিকরা চা উত্তোলন করে কাঁচা পাতা ২৮ টাকা দরে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৯০ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা স্টাফদের বকেয়া পাওনা রয়েছে। মিরতিংগা চা বাগান ইউনিটির সদস্যরা বেতন ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
 

এদিকে দেউন্ডি টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াহিদ, চা বাগান কর্মচারী ইউনিয়ন ও বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে গত ৬ মার্চ বকেয়া পাওনাদি নিরসনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মার্চ মাস থেকে বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা যথা সময়ে পরিশোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু মালিক পক্ষ তা করেনি। এরই প্রতিবাদে মিরতিংগা চা বাগান ইউনিটের সদস্যরা অবস্থান কর্মসুচি ও প্রতিবাদ সভা করে। আগামী রোববার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
 

বক্তারা আরো জানান, অবিলম্বে বকেয়া পাওনাদি না পরিশোধ করা হলে কঠোর কর্মসুচি গ্রহণ করা হবে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/জয়নাল/এসডি-১৯৯১