পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ৬ জন। 

 


 


জানা যায়, জকিগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রথমে ৩ জন নিহত হন।  পরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেলের ২ আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। অপর মোটরসাইকেলের আরোহীরা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।

 

 

 


গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়নের মাদারখাল গ্রামের আফতার আলীর ছেলে আদিল হোসাইন (২০), একই গ্রামের জমির আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ (২১) ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মিনারাই গ্রামের রাজু আহমদের ছেলে রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ (১৮)। তিনি বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের মধ্যে আদিল হোসাইন ও জাকারিয়া আহমদ এক মোটরসাইকেলে ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের গ্রামের সুবহান আলীর ছেলে মিলন আহমেদ (২০)।

 

 

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জকিগঞ্জ- সিলেট সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় দুটি মোটরসাইকেল দুদিক থেকে আসছিলো। গাড়ি দুটিই বেপরোয়া গতিতে ছিলো। মুহিদপুর এলাকায় এ দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে আদিল, জাকারিয়া ও মিলন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আদিল হোসাইন ও জাকারিয়া আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর মোটরসাইকেলের আরোহী বিয়ানীবাজারের রেদওয়ান আহমদ ফুয়াদ ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারা যান। সর্বশেষ গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কলেজ ছাত্র মিলন আহমদ (১৮)। 

 

 

 

এদিকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের প্রাণহানী হয়। এর মধ্যে শনিবার রাত ১১টার দিকে বাহুবল উপজেলার ডাকবাংলো এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। নিহতরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সালমান (২৯) ও কামাল মোল্লার ছেলে সাইল মোল্লা (২২)।

 

 

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবীর জানান, দুইজন আরোহী মোটরসাইকেল নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ইউনিক পরিবহণের সিলেটমুখী একটি বাস মোটরসাইকেলকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী মারা যান।

 

 

 


এদিকে, জলপ্রপাত দেখতে যাওয়ার পথে নিহা আক্তার (৬) নামে একটি শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। গত শনিবার দুপুরে জেলার বাহুবল উপজেলায় হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের আমতলীতে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু নিহা চুনারুঘাট পৌরসভার বাগবাড়ি এলাকার দুবাই প্রবাসী মিজানুর রহমানের মেয়ে। মেয়েটি বাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়তো।

 

 

 


স্থানীয়রা জানান, নিহার পরিবারসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ অন্তত ৫০ জন ১০টি মাইক্রোবাসে করে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত দেখতে যাচ্ছিলেন। তারা বাহুবলের আমতলীতে পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস চাকা পাংচার হওয়ার কারণে হঠাৎ উল্টে যায়। এতে নিহা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডি.আর