ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে দলটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর গত রাতে।

 


বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি সোমবার রাতে বৈঠক করে বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

দলটির স্থায়ী কমিটির গত রাতের ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তাঁর সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে।


এখনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরো অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।’
 

নির্বাচন বর্জনের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কশাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


দলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিলেটের বিএনপির নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতারা বলছেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।


সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, দল উপজেলা নির্বাচন অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। দলের সিদ্ধান্তের উপর আর কারো কোন কথা থাকে না। দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সিলেটের সকল নেতাকর্মীরা তার পালন করবে।

 

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী জানান, বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই চূড়ান্ত। এসব পাতানো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। এসব নির্বাচনে প্রশাসন প্রভাবিত থাকে। জনগণের মতামতের মূল্য দেওয়া হয় না। যতদিন পর্যন্ত দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না এসেছে, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না ততদিন আমরা নির্বাচনে যাবো না। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নেবে না। যদি কেউ মনোনয়ন দিয়ে থাকে তারা তা প্রত্যাহার করবেন।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত