২০২৩ সালে অভিবাসনে রেকর্ড গড়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডে। এত বেশি সংখ্যক অভিবাসীর আগমন দেশটির জন্য নিরাপদ নয় বলে মনে করছে দেশটির সরকার। আর এ কারণেই অভিবাসী ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনছে তারা। কর্মসংস্থান ভিসার নিয়মে কড়াকড়ি আনতে চলেছে নিউ জিল্যান্ড। 
 


ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ জিল্যান্ডের কর্মসংস্থান ভিসার নিয়মে যেসব পরিবর্তন আনা হবে, তার মধ্যে রয়েছে কম দক্ষতাসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রেও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, সংশ্লিষ্ট কাজের ন্যূনতম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। কম দক্ষতাসম্পন্ন চাকরিজীবীদের একটানা থাকার মেয়াদও পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে তিন বছর করা হবে।
 



নিউ জিল্যান্ডের অভিবাসন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছন, যা এক বছর সময়ের জন্য রেকর্ড। বিপুল সংখ্যক এই অভিবাসী নিউ জিল্যান্ডের জন্য কিছুটা হলেও উদ্বেগের। 

করোনা মহামারির পর থেকেই নিউ জিল্যান্ডে অভিবাসী আগমনের সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশি। প্রায় ৫১ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউ জিল্যান্ডে গত কয়েক বছরে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর আগমনে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

 

নিউ জিল্যান্ডের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়াতেও অভিবাসী আগমনের হার বেড়েছে। বাধ্য হয়ে আগামী দুই বছরে অভিবাসী নেওয়ার পরিমাণ অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

 

নিউ জিল্যান্ডের অভিবাসনমন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, যেসব জায়গায় দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে, সেখানে উচ্চ দক্ষ অভিবাসী কর্মী নিয়োগ দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছে সরকার। যেমন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক।

 

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, চাকরিতে নিউ জিল্যান্ডের অধিবাসীরা যেন অগ্রাধিকার পান। অভিবাসীদের কারণে আমাদের নিজ নাগরিকরা যেন বঞ্চিত না হন, সেদিকে অবশ্যেই লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী আর্থিক অস্থিরতা সৃষ্টি  হয়েছে। এর প্রভাবে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ও উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা অভিবাসী নীতিতে পরিবর্তন আনে। প্রতিটি দেশই নতুন নীতিতে অতীতের তুলনায় কম অভিবাসী নেওয়ার উপর জোর দিয়েছে।

 

সূত্র: রয়টার্স
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নোমান