কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘কৃষকরা হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাণ। ‘কৃষি বাঁচলে, দেশ বাঁচবে’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বোরো ধান কাটার মওসুমে কৃষককের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দুই কোটি ২২ লাখ মে. টন খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। কৃষকরা যাতে ধান-চালের দাম সঠিকভাবে পায়, কৃষকদের বাঁচার জন্য যে প্রয়োজন সেটুকু বিবেচনা করে ধানের মূল্য নির্ধারণের জন্য চেষ্টা করব। সরকারিভাবে ধানের দাম নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে। এতে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করা হবে। আমরা চাই কৃষকরা সঠিকমূল্যে যেন তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এজন্য তাদেরকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সেটা নিশ্চিত করা হবে। তবে সবক্ষেত্রেই কিছু সীমাবন্ধতা আছে।  

 


 

 


শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে ধান কাটার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

 

 

 


এসময় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন,‘ সুনামগঞ্জ দেশের অত্যন্ত একটি ঝুঁিকপূর্ণ জেলা। এখানে বন্যা হয় বেশি, খরার সময়ও মাঠ-ঘাট ফেটে যায়। হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান কাটার মেশিন দেয়া হয়েছে। মেশিনের কোনো সংকট হবে না। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব এখানের কৃষকরা যাতে বোরো ধানের সঠিক মূল্য পায়। মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা না নিতে পারে। মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন কোনভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃষকদের গলায় ফাঁসি না দিতে পারে। এজন্য সবাই সজাগ থাকলে কৃষকরা বঞ্চিত হবেন না।’ 

 

 

 


এদিকে, দেখার হাওরের সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের কৃষক সফর উদ্দিনের জমিতে নিজ হাতে কাস্তে দিয়ে বোরো ধান কাটেন কৃষিমন্ত্রী। বোরো ধান কর্তনের পর কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বোরো ধান কাটার জন্য কৃষকদের হাতে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে দেওয়া হারভেস্টার মেশিনের চাবি তোলে দেন। এরপর জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের আয়োজিত বোরো ধান কর্তন উৎসবের আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী।  

 

 

 


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. এমদাদুল হক শরীফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান এমপি, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবির, বিনার মহাপরিচালক ড. মীর্জা মোফাজ্জল ইসলাম, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, মো. রেজাউল করিম, সিলেট অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মওসুমী মান্নান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাকিবুল আলম ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।

 

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / শহীদনূর / ডি.আর