নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯শে মে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন সময়ে পৌরশহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন নিয়ে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। যে মাঠে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে ওই মাঠ নির্বাচনী নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। মেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রতিদ্বন্ধি এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

সূত্র জানায়, উপজেলা তথ্য আপার দপ্তরের সুপারিশক্রমে লাল সবুজ ডটকম নামীয় একটি নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্টান প্রায় ১০ মাস পূর্বে মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্তত: ৭ মাস পূর্বে সিলেটের পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানা পুলিশ মেলা আয়োজনে সম্মতি  প্রদান করে।


তবে নারী উদ্যোক্তাদের মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা আয়োজনের কোন এখতিয়ার নেই বলে জানা গেছে। এরপরও অদৃশ্য কারণে সিলেটের জেলা প্রশাসক সম্প্রতি বাণিজ্য মেলা আয়োজনের অনুমোদন প্রদান করেন। এতে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সুপাতলা ওসমানী স্টেডিয়ামে (সরকারি রক্ষণাবেক্ষনে পরিচালিত) মেলা আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার পর লাল সবুজ ডটকম নামীয় সংগঠনের নারী উদ্যোক্তারা তা স্থানীয় মুজিবুর রহমান বিপ্লব নামের জনৈক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে ওই মাঠে তার উদ্যোগে মেলা আয়োজনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা তথ্য আপা দপ্তরের প্রধান শিউলী আক্তার বলেন, আমরা প্রায় ১০ মাস পূর্বে মেলা আয়োজনের জন্য সুপারিশ করি। নির্বাচনের সময় মেলায় পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে।

উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের মেলা আয়োজনে নির্বাচনী পরিবেশ ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতির বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। কারণ ভোটাররা নির্বাচনের পরিবর্তে মেলা নিয়ে বেশী উৎসবমুখর হয়ে পড়বে। এতে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও কম হতে পারে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুফতি শিব্বীর আহমদ বলেন, মেলা না ভোট, কোন দিকে নজর দিবে প্রশাসন। এমনিতেই ভোট নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই। ভোটের সময় মেলা আয়োজন দ্রুত বন্ধ করতে হবে বলে দাবী করেন তিনি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন সুমন জানান, যে স্থানে মেলা আয়োজন হবে, তার আশপাশে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর সংখ্যা অন্তত ৬ জন। তারা মেলাকে কেন্দ্র করে ভোটের প্রচারণা চালাবে। যা নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার অসীম জ্যোতি দাস জানান, বিষয়টি আমি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হাফিজুর/এসডি-১৮১০