চলতি মাসের ১৯ এপ্রলি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ে ২৩৬টি পদের অনুকুলে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখিত নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে জেলাব্যাপী ৩৮ হাজার চাকুরি প্রত্যাশী আবেদন করলেও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মাত্র ১৩ হাজার পরীক্ষার্থী।

 


২৫ এপ্রলি রাতে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর পর নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নামে লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে একটি সংঘব্ধ প্রতারক চক্র। নগদ টাকার চুক্তির মাধ্যমে স্ব স্ব পদে চাকুরি শতভাগ নিশ্চিত করছে চক্রের সদস্যরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বতন কর্মকতার মাধ্যমে তদবীর করে চাকুরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে এই চক্রের সদস্যরা বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনেক চাকুরি প্রত্যাশী ও তাদের অভিভাবকরা। 


অবৈধ লেনদেনের একাধিক চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে এ প্রতিবেদক। মুঠোফোন ও মেসেজের মাধ্যমে জানিয়েছেন চাকুরি প্রত্যাশী ও তাদের অভিভাকরা। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে এক চাকুরি প্রত্যাশী বলেন, সরকার দলের এক নেতার সহকারি জানিয়েছেন তিনি শতভাগ চাকুরি নিশ্চিত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা লাগবে। তার নাকি কর্তৃপক্ষের সাথে ভালো যোগাযোগ রয়েছে। তিনি যেভাবে বলছেন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই চাকুরি পাইয়ে দিতে পারবেন।


মো. মখলিছ মিয়া নামের একজন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখিছেন, আমার এক কাছের মানুষ লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। শুনতেছি এখন নাকি ৮ লাখ টাকা লাগবে। এটা কতটুকু সত্য। এসএম মোস্তাক লিখিছেন, চা খরচ ৪ লাখ চায়।
 

এদিকে ২৭ এপ্রলি থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীদের বাইবা গ্রহণ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ যোগ্যতার ভিত্তিতে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষা শতভাগ ফেয়ার হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল ডা. আহম্মদ হোসেন। 

 

তিনি চাকুরি প্রত্যাশীদের সতর্ক করে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় লেনদেনের সুযোগ নেই। লেনদেনের কোনো অভিযোগ আমাদের কানে আসলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে বাইবা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। যোগ্য ও মেধাবীদের নিয়মের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / শহীদনূর/ নাজাত