আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ। এতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে। উপজেলাটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী।

 


তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন (মোটরসাইকেল প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় (দোয়াত—কলম প্রতীক), দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় ( ঘোড়া প্রতীক), জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা (টেলিফোন প্রতীক) ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া  (আনারস প্রতীক)।

 

নির্বাচন কমিশনে প্রদত্ত হলফনামা অনুযায়ী, প্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আছেন রিপা সিনহা। হলফনামায় তার ৬১ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮ টাকার সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রদীপ রায়। তাঁর সম্পদ ২৯ লক্ষ ১৫ হাজার ২৮১ টাকার, তৃতীয় মোহাম্মদ গোলাপ মিয়া, ২৮ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৭২ টাকার সম্পদ উল্লেখ করেছেন তিনি, চতুর্থ মো আজাদুল ইসলাম রতন ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার সম্পদ তাঁর, পঞ্চম রঞ্জন কুমার রায় ৯ লক্ষ ২০ হাজার।

 

জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আজাদুল ইসলাম রতন ব্যবসা (ব্যবসার পুঁজি) থেকে বাৎসরিক আয় করেন ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা, আইনপেশা থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর’এর (এপিপি) সম্মানী ভাতা ৯৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা নিজ নামে ২ লক্ষ, নিজ নামে ৩ ভরি স্বর্ণ ১ লক্ষ টাকা, স্ত্রী ও স্বামীর নামে ১০ ভরি স্বর্ণ ৩ লক্ষ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা বি. এ. এল. এল. বি এবং পেশা আইনজীবী।

 

 

দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ব্যবসা থেকে বাৎসরিক ৭ লক্ষ ৫০ টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৩০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৮ লক্ষ ৫০ হাজার ২৩১ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ১ লক্ষ টাকা, সেডান কার ১টি ৮ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার স্ত্রী/স্বামীর নামে ৫ ভরি ২ লক্ষ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৭০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে যৌথ মালিকানায় কৃষি জমি এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী এবং পেশা ব্যবসা (দিরাই স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক)।

 

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাপ মিয়া ব্যবসা থেকে বাৎসরিক ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা নিজ নামে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৮৯ টাকা, ব্যাংক ঋণ পূবালী ব্যাংক ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৬৯ টাকা, স্বর্ণালংকার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৮০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ১ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য ৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৮৩ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে কৃষি জমি ৬ শতক ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, অকৃষি জমি ২ শতক ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ (পাস) পাশ এবং পেশা ব্যবসা।

 

দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় কৃষি খাত থেকে বৎসরিক ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৮ ভরি স্বর্ণ ৪ লক্ষ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র ১ লক্ষ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে যৌথ মালিকানায় ১২ কেদার কৃষি জমি ও একটি বাড়ি। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ.এস.সি এবং পেশা ব্যবসা।

 

মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রিপা সিনহা সঞ্চয়পত্র থেকে বাৎসরিক ১ লক্ষ ৮০০ টাকা, আইনপেশা থেকে ৬০ হাজার, চাকুরী (সম্মানী) ৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে নগদ ৯ লক্ষ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৪৮৭ টাকা, জিপিএফ ১০ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৪১ টাকা, সঞ্চয়পত্র ১৫ লক্ষ টাকা, স্বর্ণ নিজ নামে ২১ ভরি ও স্বামী/স্ত্রীর নামে ১০ ভরি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র ২ লক্ষ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে ২ শতক কৃষি জমি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ২ শতক ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা, অকৃষি জমি নিজ নামে ৭ শতক ২ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০টাকা ও স্বামী/স্ত্রীর নামে ৭ শতক ২ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং পেশা আইনজীবী।

 

উল্লেখ্য, দিরাই উপজেলায় ভোটার ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫২৫ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ৯৭ হাজার ৬৮৭ জন এবং নারী ৯৫ হাজার ৮৩৮ জন। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ রয়েছে ৪১৮টি।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি