সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেছেন, “সরকার বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে কৃষকদের উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। কৃষকরা যাতে তাদের ফসল ভালোভাবে ফলন করতে পারে সেই চিন্তা ভাবনা নিয়েই সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের কৃষি খাতে উন্নতি করতে হবে। খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা। এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি করছেন।”
 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের সবাইকে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কৃষি খ্যাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে তাদের অনাবাদি জমি ফসলে রূপান্তরিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’


প্রযুক্তি নির্ভর হবে আগামী বাংলাদেশ। তিনি প্রত্যেককে নিজ নিজ জমিতে চাষ করে কৃষি খ্যাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টায় কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিসটেন্স (ফ্লিপ) এর অর্থায়নে এবং সিলেট জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ৬দিনব্যাপি কৃষি প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ খয়ের উদ্দিন মোল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সিলেট সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা সরকার এর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দেবল সরকার, সিলেট সদর উপজেলার কৃষি অফিসার অপূর্ব লাল সরকার, সিলেট জেলার প্রশিক্ষক অফিসার দীপক কুমার দাস, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাশ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা জামিল সিদ্দিকী। গীতা থেকে পাঠ করেন নন্দ দুলাল।

 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালবৃন্দ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএডিসি কর্মকর্তাবৃন্দ, এসডিআই কর্মকর্তাবৃন্দ, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট নার্সারী কল্যাণ সংস্থার সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারক ও কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা প্রদান করা হয়।

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১৯১১