গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে খ্যাতি রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের । পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গড়তে শাবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখা হয়েছে ডাস্টবিন, কিছু দিন পরপর চলে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি।  


এতো সচেতনতার আড়ালে শাবি ক্যাম্পাস যেন পরিনত হচ্ছে ময়লার ভাগাড়ে। ছোট বড় দশটির অধিক ময়লা-আবর্জনার স্তুপে ক্যাম্পাস হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য, এগুলো থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধে পরিবেশের উপর ফেলছে বিরূপ প্রভাব।


 

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষাভবন-ডি’র পেছনে, শিক্ষাভবন-এ’র পূর্ব পাশ্বে, আইআইসিটি ভবনের পেছনে, সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের পশ্চিমে রাস্তার বিপরীত  পার্শ্বে , বঙ্গবন্ধু হলের সম্মুখে, শাহপরাণ হল সংলগ্ন টিলার উপর ও নিউজিল্যান্ডে টিলার বিভিন্ন স্থানসহ ক্যাম্পাসে অপরিকল্পিতভাবে ফেলা আবর্জনায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় ১০টির অধিক ময়লার স্তুপ।

 

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হতে নির্ধারিত জায়গা না করে দেওয়ায় এসব জায়গায় আবর্জনা ফেলছেন তারা। এছাড়া এসব আবর্জনা ফেলার জন্য রাখা ডাস্টবিন গুলো পর্যাপ্ত নয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।

 

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা এসব ময়লার স্তুপের কোনোটাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলানো হচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে শাবির বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নারায়ণ সাহা বলেন, এগুলো অবশ্যই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ময়লাগুলো জমা না করে সিটি কর্পোরেশনকে দিয়ে দেওয়া। তারা যেন এগুলো সংগ্রহ করে রিসাইকেল করতে পারেন।


পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে কাজ করে যাচ্ছে শাবির পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’। এবিষয়ে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ডানিয়েল মামুন বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুন্দর রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।  এজন্য সবার আগে আমাদের নিজেদের সতর্ক হতে হবে। অনেকে ডাস্টবিন গুলোর সঠিক ব্যবহার না করে আবর্জনা বাইরে ফেলছেন। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ডাস্টবিনে আবর্জনা গুলো ফেলার। এছাড়া প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে একাডেমিক ভবন ও হলগুলোর পাশে ময়লা ফেলার জন্য ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বলেন,  শীগ্রই আবাসিক হল ও একাডেমিক বিল্ডিং গুলোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে ডাম্পিং ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করছি। 

 

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে  এই ময়লাগুলো আমরা নিজেরাই রিসাইকেল করবো। যেসব ময়লা রিসাইকেল করা যাবেনা, সেগুলো সিটি করপোরেশনকে জানাবো তাদের গাড়ি এসে এগুলো নিয়ে যাবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নোমান