সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে অবশেষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন পৌরসভার ৮নং ও ৫নং অন্তর্গত ‘গঙ্গাধরপুর’ নামের দুই গ্রামবাসী।
 

সোমবার রাত পর্যন্ত দুই গ্রামবাসী নিজেদের সেন্টারে ভোট দিতে পারবেন না বলে বিরাজ করছিলো চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা। গ্রহন করা হয়ে ছিলো অবস্থান কর্মসূচি (মঙ্গলবার ৭মে)।


অবশেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটাণিং কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সংশ্লিস্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ শুরু করলে রাতেই দুই গ্রামবাসী নিজেদের ‘স্ব স্ব কেন্দ্রে ভোট দেওয়া’র সিদ্ধান্ত আসে।
 

উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ পৌরসভার অর্ন্তগত ৮নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর (মশলা) গ্রামের ভোটার তালিকা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ভোটার তালিকার সাথে ভুলবশতঃ অদল-বদল হওয়ায় নিজস্ব ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন না গ্রাম দুটির ভোটাররা। সদস্য সম্পন্ন হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নাই দুই গ্রামের ভোটাররা। এর পূর্বে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বনাথ পৌরসভা’র নির্বাচনেও একই সমস্যা ঘটলে অভিযোগ করা হয়। তা তাৎক্ষণিক সংশোধন করা হলে নিজের কেন্দ্রেই ভোট দেন এই গ্রাম দু’টির বাসিন্দারা। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে আবারও সেই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটলে সহকারী রিটার্ণি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা পাননি তারা। এরপর সংশোধনের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বলেন আগামী নির্বাচনের সময় ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের ভোটার তালিকা ঠিক থাকলেও ভোট কেন্দ্রের সীটে দেখা যায় শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৫নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ৫ ভোট ও ৮নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ৬৪ ভোট ৫নং ওয়ার্ডের দূর্যাকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে।

এজন্য দুই গ্রামের ভোটাররা ভোট দিতে চাইলে ৯ কিলোমিটার দুরে একে অন্যের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রনঞ্জয়/এসডি-২০১৫