ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ৮ মে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। উপজেলার ৪৪টি কেন্দ্রে ১,১৭,৭৫৫ ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ হাজার ৯০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৭২ ভোট বাতিল হয়। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিধান ছিল। এ নির্বাচন থেকে সেটা ১৫ ভাগ করা হয়েছে। সে হিসাবে জামানত রক্ষায় ৮ হাজার ২৬৪ ভোট পাওয়ার কথা। চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
 

এখানে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস (মটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪০ ভোট, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন (ঘোড়া) ৯৯২ ভোট ও আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (কড়াই) ২১৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।



ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৫ হাজার ১১৩ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৩ ভোট বাতিল হয়। জামানত রক্ষায় ৮ হাজার ২৬৭ ভোট পাওয়ায়র কথা। সে হিসাবে এখানে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থীর ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
 

এখানে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখরুল ইসলাম (বই) ৫ হাজার ৭৬১ ভোট, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ (তালা) ৫ হাজার ২৫৪ ভোট, শামীম আহমেদ (মাইক) ২ হাজার ৮৭৯ ভোট, মোহাম্মদ মোয়াজ জাকারিয়া শিবলু (বাল্ব) ২ হাজার ৬৩৩ ভোট ও রুবেল আহমদ (টিউবওয়েল) ২ হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৫ হাজার ১৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১ হাজার৮৪৮ ভোট বাতিল হয়। জামানত রক্ষায় ৮ হাজার ২৫৩ ভোট পাওয়ায়র কথা। সে হিসাবে এখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর ১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিবুন খানম (কলস) ৩ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
 

এদিকে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর ৪ জনই নিজ কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, হল্যান্ড প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক নিজ কেন্দ্র হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৮০৮ ভোট্। একই কেন্দ্রের ভোটার অপর প্রার্থী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কিশোর রায় চৌধুরী মনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১০৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নিজ কেন্দ্র আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রিংকু রঞ্জন দাস মটরসাইকেল প্রতীকে ৪২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এখানে ১০৫ ভোট বেশি পেয়ে জিতেছেন কিশোর রায় চৌধুরী মনি। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আলী হোসেন তার নিজ কেন্দ্র কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৯৬ ভোট পেয়েছেন। এ কেন্দ্রে কিশোর রায় চৌধুরী মনি পেয়েছেন ৭১৩ ভোট। বড়ধামাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাসির উদ্দিন কড়াই প্রতীকে কোন ভোট পাননি। তবে তার ভাই কবির উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়েছেন।
 

মোঃ শেখরুল ইসলাম বই প্রতীকে নিজ কেন্দ্র ভোগতেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পেয়েছেন ২৭০ ভোট। এ কেন্দ্রে ভোটার অপর প্রার্থী জুয়েল আহমদ চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। মাইক প্রতীকে শামীম আহমেদ নিজ কেন্দ্র চম্পকলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট। এই কেন্দ্রে আব্দুস শহীদ ৪৭৯ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিবুন খানম কলস প্রতীকে নিজ কেন্দ্র নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেয়েছেন মাত্র ৯২ ভোট। এখানে প্রজাপতি প্রতীকে রনজিতা শর্ম্মা পেয়েছেন ৪৯২ ভোট।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মঞ্জুরে/এসডি-২০৫৩