সিলেটের মেজরটিলার চামেলিবাগ এলাকার দুই নম্বর সড়কের একটি টিলা ধসে ৮৯ নম্বর বাসার উপর পড়ে সোমবার (১০ জুন) সকালে। এতে এই বাসায় থাকা এগারো জন মাটির নিচে চাপা পড়েন। সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মারা যান তিনজন। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই বসতবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। ১৯৯৭ সালে ঠিক এই এলাকায় টিলা ধসে ১ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, এখনো ঝুঁকি নিয়ে টিলায় এবং টিলার আশেপাশে বসবাস করছেন কয়েকশ পরিবার। প্রশাসন এসব এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও দেওয়া হয়নি পুনর্বাসন বা সহায়তার আশ্বাস।
চামেলিবাগের বাসিন্দা কয়ছর জানান, সোমবারের ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেনি। অনেকেই রাস্তায় হাটাহাটি করে সময় পার করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য। হঠাৎ করে আমরা কোথায় যাবো। আগে আমাদের কিছু বলা হয়নি, সোমবারের ঘটনার পর আমাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তবে আমাদের পুনর্বাসন বা সহায়তার কোন আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
জানা যায় টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই টিলার নিচে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন তারা। টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের পাহাড় টিলা ধসের শংকা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রাণহানির শঙ্কাও বেড়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সিলেট সদর উপজেলার খাদিম এলাকায় টিলাধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের ৬ জুন জৈন্তাপুর উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু হয়। আর ১৯৯৭ সালে ঠিক এই এলাকায় টিলা ধসে ১ জনের মৃত্যু হয়।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত