সিলেট নগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলা ধসে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর পর টিলা ও টিলার আশেপাশে বসবাস করা কয়েকশ পরিবারকে অন্যত্র সরে যেতে বলেছে প্রশাসন। তবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও দেওয়া হয়নি পুনর্বাসন বা সহায়তার আশ্বাস। অভিযোগ রয়েছে এমন দুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল টনক নড়ে প্রশাসনের। স্থানীয়রা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।

 


 

চামেলীবাগ এলাকায় এখনো ঝুঁকি নিয়ে টিলায় এবং টিলার আশেপাশে বসবাস করছেন কয়েকশ পরিবার। সোমাবার (১০ জুন) টিলা ধসের পর টিলার আশেপাশে লাল পতাকা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। টিলা ও টিলার আশেপাশে বসবাস করা পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। অনেকেই বসতবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। যারা এখনো ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন তাদের পক্ষ থেকে টিলায় লাগানো হয়েছে ‘পুনর্বাসনের ব্যবস্থা চাই’ এই সম্বলিত একটি প্লেকার্ড।

 

 

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল টনক নড়ে প্রশাসনের। প্রশাসন পক্ষ থেকে তাদের সরে যেতে বলা হলেছে। বেশ কয়েকটি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। তবে এখনও রয়ে গেছেন অনেকেই। তাদের দাবি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। যেহেতু এখানে বসবাস করা অনেকেই দরিদ্র তাই তাদের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে। যদি প্রশাসন থেকে পুনর্বাসন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তবে তার সরে যাবেন।

 


এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেনি। অনেকেই রাস্তায় হাটাহাটি করে সময় পার করছেন।

 

 

এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিহতদের বাড়িতে যান। এসময় তিনি নিহত ৩ জনের মা-ভাই ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং ব্যক্তিগত পক্ষ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

 


পরিদর্শন শেষে মোমেন বলেছেন- কয়েক বছর ধরে  সিলেট প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের বন্যায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিলেট। এবারেও বন্যা হয়ে ক্ষতির মুখে সিলেট। বজ্রপাতে সম্প্রতি ঘন ঘন প্রাণহানি ঘটছে এ অঞ্চলে। এছাড়া ঘন ঘন হচ্ছে ভূমিকম্পও। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে  সিলেটের জন্য ‘ক্লাইমেট প্রকেটশন ফান্ড’ গঠন করতে চাই। যাতে সহজেই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত