করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে সিলেট এসেছিলেন অসংখ্য মানুষ। কেউ গিয়েছিলেন সিলেট ছেড়ে। তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধের কারণে গন্তব্যে ফিরতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে সিলেটের বাস টার্মিনালগুলোতে চাপ দেখা গেছে মানুষের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষের মাঝে সচেতনতা দেখা যায়নি।

অনেকের ধারণা ছিল, ঈদের আরও ৩-৪ দিন পর কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধ শুরু হতে পারে। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে নতুন কোন নির্দেশনা আসেনি। পূর্বঘোষিত সময়েই অর্থাৎ আগামীকাল ভোর ছয়টা থেকে শুরু হবে কঠোর লকডাউন। এই বিধিনিষেধের আওতায় চলবে না গণপরিবহন। যে কারণে দুপুরের পর থেকেই মানুষের চাপ বাড়তে থাকে বাস টার্মিনালগুলোতে।


ঈদ আনন্দ উদযাপনে যারা কর্মস্থল কিংবা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা সিলেটে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকে সিলেট ছেড়ে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়ানোর পর এই চাপ আরও বাড়তে থাকে। রেলওয়ে স্টেশনগামী হচ্ছিলেন অনেক মানুষ। তবে টার্মিনাল এলাকা কিংবা বাসে স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোন কড়াকড়ি ছিলনা। চোখে পড়েনি পুলিশের তৎপরতাও। বাসযাত্রী আর চালক দোষারোপ করছেন একে অপরকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল এলাকায় স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিলোনা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না কেউ। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক ছিলো না। সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া আদায় করার পাশাপাশি বেশি যাত্রী তোলারও অভিযোগ ছিল চালকদের প্রতি।

কঠোরতম লকডাউন সামনে রেখে নানা কারণে সিলেট ছাড়ার বিষয় জানালেন বিভিন্ন যাত্রী। তাদের কেউ সরকারি চাকরিজীবী, কেউ ব্যাংকার এবং কেউবা গার্মেন্টসকর্মী। কেউবা সিলেট এসেছিলেন পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে। তারা বলছিলেন, তারা তাদের প্রয়োজনেই ঢাকায় ফিরছেন। বাসে কওে সিলেট ফেরা যাত্রীদেরও সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। সংক্ষিপ্ত সময়ে ঈদ উদযাপনের অপূর্ণতা তাদের মনে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-১২