সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ৯ বছরের শিশুকে বলাৎকারের ঘটনার ৬দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রাম্য মাতব্বররা নিরীহ ওই পরিবারকে মামলা দায়েরে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে উপজেলার বগুলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর আলমখালি গ্রামের ৯ বছরের এক শিশুপুত্র মাঠে খেলতে যায়।এ সময় পার্শ্ববর্তী পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামের রাশিদ মিয়ার ছেলে মিজান শিশুটিকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় মাদ্রাসার একটি নির্জন কক্ষে তাকে বলৎকার করে। এতে শিশুর পায়ুপথ দিয়ে রক্ত ঝরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


চিকিৎসা শেষে সিলেট কতোয়ালি থানা থেকে দোয়ারাবাজার থানার ‍ওসি বরাবরে তদন্ত রিপোর্ট সম্বলিত সিলগালাযুক্ত একটি চিঠি পাঠান ওই শিশুর পিতার মাধ্যমে। কিন্তু মামলা দায়ের না করতে মাতব্বরদের চাপে থানার চিঠিখানা পকেটে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। এদিকে ওই ঘটনায় গত তিদিন ধরে সামাজিক যোগাযোম তোলপাড় শুরু হয়েছে।

বলাrকারের শিকার শিশুর পিতা বলেন, ঘটনার পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে আমি বিষয়টি অবহিত করে আহত শিশুটিকে হাসাপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলে হুমকি-ধামকিসহ মামলা না করতে আবারো চাপ শুরু হয় আমার ওপর। একদিকে ঘটনাকারীর আত্মীয়স্বজনরা প্রভাবশালী বিধায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা চুকে বিপাকে পড়ে নি:স্ব হবো বলে গ্রামের সাধারণ মানুষজন আমাকে হুশ দিচ্ছেন। অপরদিকে মামলা দায়ের না করতে শাসানোসহ ভবিষ্যতে নানাভাবে আমাকে ফাঁসানো হবে বলে আমাকে হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। তবে বাস্তবতা আমার জানা নেই।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। ওসিসির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/জুনেদ-৬