জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ- হোয়াটসঅ্যাপ কেবল গত আগস্ট মাসে ২০ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সংস্থাটির মাসিক কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট অনুসারে এই তথ্য সামনে এসেছে। শুধু আগস্টেই ৪২০টি অভিযোগ পেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

ক্ষতিকারক আচরণ এবং নেটমাধ্যমের অপব্যবহারের প্রবণতায় রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে। ভারতের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নির্দেশিকা মেনে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ২০ লাখ ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ক্ষতিকর এবং অশালীন ম্যাসেজ বিপুলভাবে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে সেই সব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে। এছাড়া রয়েছে, হ্যাকিং এবং জালিয়াতির মতো ঘটনাও। ৯৫ শতাংশেরও বেশি অ্যাকাউন্ট এই কারণে 'ব্যান' করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।


মাসিক কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট অনুসারে, শুধু আগস্ট মাসের মধ্যেই ৪২০টি অভিযোগ পেয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

তার ভিত্তিতেই কঠোর অবস্থান হোয়াটসঅ্যাপ-এর। হোয়াটসঅ্যাপ ৪২১টি রিপোর্টের মধ্যে ৪১টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ-এর তরফে তার সাপোর্ট পেইজে প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে- সংস্থাটি জানিয়েছে যে, তারা গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সবকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

হোয়াটসঅ্যাপ-এর একজন মুখপাত্র জানান, গ্রাহকের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে দেখা হচ্ছে। হ্যাকিং এবং জালিয়াতির মতো ঘটনাতে হোয়াটসঅ্যাপ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ ক্ষতিকর এবং অশালীন ম্যাসেজ বিপুলভাবে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে যেসব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো যাতে পুনরায় না খোলা যায়, সেদিকে সজাগ নজর রেখে চলেছে সংস্থাটি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১২


সূত্র : বিডি-প্রতিদিন