ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল।

সিলেটে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘বিভাগীয় সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল’ নামে এটি গড়ে তোলা হবে। এ হাসপাতালে সরকারি কর্মচারীরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা নিতে পারবেন। সিলেটসহ দেশের আটটি বিভাগে এ ধরনের হাসপাতাল নির্মাণে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল’ নামে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় এটি অবস্থিত। শুরুতে এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও ২০১৫ সাল থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। ১৫০ শয্যার হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীতের প্রক্রিয়া চলছে।


ফুলবাড়িয়ার ওই হাসপাতালের আদলেই সিলেটসহ দেশে আট বিভাগে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। তবে একেকটি হাসপাতাল নির্মাণে কতো টাকা খরচ হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ১৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেন। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় হাসপাতাল নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা ও দ্রুত নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতাল নির্মাণের জন্য স্থান চূড়ান্ত করে জমির প্রাপ্যতাও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন নকশা ও খরচ প্রাক্কলন করে প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে।

সরকারি তহবিল থেকে এই হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্ভব না হলে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে ঋণ। এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য সব বিভাগে হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন। জমির নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এসব হাসপাতাল সরকারি তহবিলে অথবা বিদেশি ঋণে নির্মাণ করা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিকিৎসক নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিকিৎসক নিয়োগ দেবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে সরকারি কর্মচারী গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান। বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের জন্য হাসপাতাল হলে ঢাকামুখী প্রবণতা কমে আসবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে