প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের চক্রবর্তী পাড়ায় পাহাড় ধসে আপু রুদ্র পাল (২৮)  নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার ভাই পাপ্পু পাল (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

 


শুক্রবার রাত ৩ টারদিকে পাহাড় ধসে ঘরের উপরে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপায় আপু রুদ্র পাল নিহত হন। 

 

পাপ্পু পালকে অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

 

তারা  লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের চক্রবর্তী পাড়ার ডাক্তার নুকুল রুদ্র পালের ছেলে। 


গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই হেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

 

এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিশাইল এলাকায় পাহাড় ধসে ২০ টি বাড়ির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু আহমদ।

 

এতে গ্রামের রাস্তার উপরে গাছপালাসহ মাটি ধসর পড়ায় মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছ। অপরদিকে অমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর নালিবাড়ি গ্রামের আফসর আহমদের ঘর পাহাড় ধসে মাটির নিচে চাপা পড়েছে। 

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবীর লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন।


স্থানী জনপ্রতিনিধি লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলকুর রহমান জানান, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে পাহাড় ধসে অপু রুদ্র পাল নামে একজন নিহত ও তার ভাই পাপ্পু রুদ্র পালসহ আরও অন্তত পাঁচজন আহত হন। 

 

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলকুর রহমান বলেন, ওই ইউনিয়নের চক্রবর্ত্তী পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনোরঞ্জন পাল, মুন্সিপাড়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী, দক্ষিণভাগ হেকিম মিয়ার বাড়ী, নিলামপাাড়া বাহার মিয়ার বাড়ী, দক্ষিণভাগ পুরানপাড়া সুহেল মিয়ার বাড়ী পাহাড় ধ্বসে ঘটনা ঘটে ও বসত বাড়ীর উপর টিলার মাটি পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। একাধিক স্থানে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে ও পাহাড় ধ্বসে রাস্তার উপর পড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  


এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবির হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। তিনি ঘটনাস্থলে কিছু সময়ের মধ্যে যাবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।


এদিকে প্রবল বর্ষনে ঢাকাদক্ষিণ বাজারে পানি আর পানি। বাজারের চতুর্দিকে থৈথৈ করছে। প্রায় ৯০শতাংশ দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার ভোর রাত পৌনে চারটা থেকে জলাবদ্ধতায় পানি ২ থেকে ৩ ফুট আবার কোথায় কোথায় এর বেশী উচ্চতায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বাজারের মসজিদ থেকে বার বার ব্যবসায়ীদের নিজনিজ প্রতিষ্ঠান ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য আহবান করা হয়। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে বাজার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। 


পপুলার ফার্মেসীর পরিচালক রায়হান আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাকেশ্বরী নদী অবৈধ দখলদারদের হাতে বিলিন হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। তার অন্তত ১৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। 


এঘটনায় ঢাকাদক্ষিণ বাজারে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এএইচএ/এসডি-০১