পাঁচ বছর প্রেম করে বিয়ে করার আট বছর পর স্ত্রী বৃষ্টিকে গলা টিপে হত্যা করেন স্বামী সোহেল রানা। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে নিহতের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজান। দীর্ঘ তদন্তের পর গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার সোহেল রানা প্রামানিক (২৭) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার শিববপুর গ্রামের মো. কোহিনুরের ছেলে।


স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২৪) ছেলে ফাহিম প্রমানিক (৪) নিয়ে তিনি গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকা মিজানুর রহমান মজনু বাড়িতে ভাড়া থেকে গার্মেন্টে চাকরি করতেন।

গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল। করোনার আগে সোহেল মা-বাবার প্ররোচনায় বৃষ্টিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। ২০২০ সালের ৭ আগস্ট দুপুরের ভাড়া বাড়ির থাকার ঘর থেকে বৃষ্টির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্দেহ হলে বৃষ্টির বাবা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।  
আদালত মামলাটি পিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলে শুরু হয় নতুন করে তদন্ত। গত ১৪ মে নিহতের স্বামী সোহেল রানাকে তার দিনাজপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যা ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। রবিবার গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১০


সূত্র : কালের কণ্ঠ