প্রতীকী ছবি

প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের দাবিতে ঢাকার উত্তরা থেকে আসা জামালপুরের সেই তরুণীকে আজ জামিন দিয়েছেন আদালত। বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার তাকে জামিন দিয়েছেন। সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেছিলেন ওই তরুণীর বড়ভাই।

তরুণীর আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তরুণীর বিরুদ্ধে আনা ১২ অভিযোগই ছিলো জামিনযোগ্য। যার জন্য আদালত সন্তুষ্ট হয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।


ওই তরুণীর ভাই বলেন, মাহমুদুল হাসান সব কিছু জেনে আমার বোনের সঙ্গে প্রেম করে। আমার বোনকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। আমার বোন বিবাহিত তাও মাহমুদুল হাসান জানত। সব কিছু জেনে মাহমুদুল হাসান আমার বোনকে দিয়ে গত বছর ২২ অক্টোবর স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। মাহমুদুল হাসানের আশ্বাসে আমার বোন তাদের বাড়িতে এসেছে। এখন মাহমুদুল হাসান আমার বোনকে অস্বীকার করছে। আমরাও আইনি লড়াই করব।

উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল জামালপুরের তরুণী ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজার সংলগ্ন কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে আসনে। এ সময় ওই তরুণী দাবি করেন মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা করে। মাহমুদুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর মাহমুদুল হাসান গা-ঢাকা দেয়। এরপর ওই তরুণী চান্দখালী মাহমুদুল হাসানের গ্রামের বাড়িতে চলে আসে।

ওই তরুণী তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ সময় মাহমুদুল হাসানের পরিবারের কাউকে বাড়িতে না পেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় ওই তরুণী। একপর্যায়ে প্রেমিক হাসানের মামাকে জিম্মি করে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে জামালপুরের ওই তরুণী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।

এ ঘটনায় মাহমুদুল হাসানের বাবা ১২ মে আদালতে ওই তরুণীকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় শুক্রবার ভোরে ওই তরুণীকে আটক করে বেতাগী থানা পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। জামিন পেয়ে আদালত চত্তরে ওই তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তার সাথে বিয়ের নামে প্রতারণা করেছে মাহমুদুল হাসান।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১১


সূত্র : বিডি-প্রতিদিন