ছবি: প্রভাত পালের সৌজন্যে।

বর্ষায় বৃষ্টি আর উজানের ঢল সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর জীর্ণতা দূর করে ভরা যৌবন নিয়ে আসে। পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠে নদীগুলো। ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদীর বুকের সব জঞ্জাল। কিন্তু কখনো কখনো অতিবৃষ্টি আর অতিঢলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সংকটময়। দু’কূল ছাপিয়ে নদীর পানি উপচে পড়ে, ডুবিয়ে দেয় সব।

এমনই পরিস্থিতি এখন। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা এখন ফুঁসছে। অন্তত চারটি পয়েন্টে এ দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসায় পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আজ বুধবার সকালে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীগুলোর পানিসীমার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে।

পাউবো জানায়, আজ বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.২৭ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল একই সময়ে এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১.২৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানিসীমা ছিল ১৪.১১ মিটার; আজ হয়েছে ১৪.০২ মিটার।

সুরমার পানি আজ সকালে সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। এ পয়েন্টে পানি গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ১১.২১ মিটার। আজ সকালে পানিসীমা দাঁড়িয়েছে ১১.২৩ মিটার।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.৫৮ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। শেওলা পয়েন্টেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। গতকালের চেয়ে এ পয়েন্টেও আজ পানি বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পানিসীমা ছিল ১৩.৫৬ মিটার; আজ সকালে হয় ১৩.৫৮ মিটার।

কুশিয়ারার পানি বেড়েছে শেরপুর পয়েন্টেও। গতকাল সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে পানিসীমা ছিল ৭.২০ মিটার; আজ সকাল ৯টায় পানিসীমা হয় ৭.২৯ মিটার। পানি বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। এখানে গতকাল পানিসীমা ছিল ৯.১৩ মিটার; আজ সকাল ৯টায় পানিসীমা দাঁড়ায় ৯.২৪ মিটার।

এদিকে, গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি গতকালের চেয়ে কিছুটা কমেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানিসীমা ছিল ১২.২০ মিটার, আজ সকালে পানিসীমা হয় ১১.৯৮ মিটার

এ ছাড়া কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি গতকালের চেয়ে বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। গতকাল ছিল ১৪.৪৭ মিটার; আজ সকালে ১৪.৮৭ মিটার।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে