তিনি দেশে থাকুন আর বিদেশে, যেখানেই থাকুন না কেন গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষের দিকে তার দৃষ্টি সবসময় থাকেই। এই অঞ্চলের মানুষের সুখে দুখে সবসময় তিনি পাশেই আছেন। চলতি বছরের তিন দফা বন্যায় সিলেট জেলা বিএনপির সদস্য ও গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংসদীয় আসনের ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও আছেন সাধারণ মানুষের পাশে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত বানবাসীদের মুখে আহার তুলে দিতে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

গত মে মাসের বন্যার সময় ফয়সল আহমদ চৌধুরী দেশের বাইরে ছিলেন। তবে তার হৃদয় কাঁদছিল গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারবাসীর জন্য। এ দুই উপজেলার গরিব দুখী অসহায় মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে রাজনীতি করেন। তাদের সুখে দুঃখে সশরীরে পাশে থাকতে না পারলেও আত্মিকভাবে তখন তিনি তাদের অন্তরের কাছাকাছি ছিলেন। আর তাই তার পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হাতে অসহায় মানুষের জন্য খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছিলেন। এর আগেও তিনি তাই করেছেন। এবার তৃতীয় দফার বন্যায় ফয়সল চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে বিস্তর খোঁজখবর নিয়ে মঙ্গলবার থেকে ছুটে চলেছেন অসহায় মানুষের দোরগড়ায়। যাচ্ছেন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। বানবাসীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন শুকনো খাবার। মঙ্গলবার এবং বুধবার  (২২ জুন ) তিনি গোলাগঞ্জের লক্ষনাবন্দ ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের অনাহারী মানুষের মুখে শুকনো খাবার তুলে দিয়েছেন।


লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারের ১নং চৌধুরীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২নং চৌধুরীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে তৈরি করা খাবার বিতরণ করেছেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিনসহ ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ১১নং শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরপারের দুর্গম গ্রামগুলোতেও ছুটে গেছেন ফয়সল চৌধুরী। কালীকৃষ্ণপুরের কালীকৃষ্ণপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র, নূরজাহানপুর,কদুপুর, খাটখাই, পনাইরচক, মেহেরপুর, পানিআগা, কাদিপুর, ইসলামপর, রাংজিয়ল, রামপুর, বসন্তপুর গ্রামের বানবাসী মানুষের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছেন শুকনো খাবার । এ উদ্যোগ অবশ্য সিলেট জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল মুছাব্বিরের। মূলতঃ তার অর্থায়নে এসব খাবার বিতরণ করেন ফয়সল চৌধুরী।

এসময় তার সাথে ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছুরাব আলী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ, বিএনপি নেতা বেলাল আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপির  অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বন্যায় অসহায় মানুষ ফয়সল চৌধুরীকে কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা তাকে প্রাণভরে আশীর্বাদও করছেন। তেমন একজনের নাম সুরাব আলী (৬৫)। হাকালুকির কালিকৃঞ্চপুরের এই বৃদ্ধ ফয়সল চৌধুরীর দেয়া খাদ্য সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, সারাজীবন কর্ম করে খাইছি। খাওনের লাইগা কারো দিকে হাত পাততে অয়নাই। কিন্তুক ইবার বন্যায় কোন উপায় নাই। কয়ডা দিন থাইকা বউ বাচ্চা নিয়ে খাইয়া না খাইয়া আছি। ইসময় ফয়সল ভাইর সাহায্য পাইয়া অনেক উপকার অইলো। তার জন্য অন্তর থাইকা দোয়া করি, আল্লায় তারে ভালো রাখউক, ভালো করউক। ফয়সল চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, এরপর তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার বানবাসীদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি