মৃত ময়না মিয়ার পরিবারের আহাজারি

গোয়াইনঘাটের ফুলতৈলছ গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ময়না মিয়া নামের এক মারা গেছেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২ টায় ময়না মিয়ার মৃত্যু হয়।

 


২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সিলেটের  গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের ফুলতৈলছগাম গ্রামে খাশ ভূমিতে ফিশারি নির্মাণের সুত্রধরে দুপক্ষের মধ্যে  সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ময়না মিয়াসহ উভয় পক্ষে ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে চিকিৎসা সকলেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়ফুল আলম বাদী হয়ে ওয়ার্ড মেম্বার মর্তুজ আলীকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ২৯ জুলাই একটি মামলা গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ২০ ।


একই তারিখে রাশেদ মিয়া বাদী হয়ে এবং নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে গোয়াইনঘাট থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ২২। পাশাপাশি উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ৬ আগষ্ট (শনিবার) বৈঠকে বসার কথা ছিল। এরই মধ্যে ময়না মিয়া চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে আসার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পুনরায় চিকিৎসার জন্য সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার আত্মীয় সজনেরা। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ আগস্ট (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২ টায় ময়না মিয়া মৃত্যু হয়। 


ময়না মিয়া মৃত্যুকালে ৯ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে ময়না মিয়ার মৃত্যুর খবরের পুরো ফুলতৈলছ গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।


এব্যাপরে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ফুলতৈলছ গ্রামে দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা নিয়ে সবাই বাড়িতে ফিরে ছিলেন। 


তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় পরে ময়না মিয়াকে চিকিৎসার জন্য সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার আত্মীয় সজনেরা। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বর্তমানে ময়না মিয়ার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এমএএম/ইআ