প্রেমিককে বিদেশ পাঠাতে প্রেমিকা তার আপন ছোট বোনকে অপহরণ করেন। তারপর বাবার নিকট মুক্তিপণ চান ৫০ লাখ টাকা। অপহৃত ছোট বোন উদ্ধার হওয়ায় তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক প্রণব আচার্য্য।

ঘটনার বিবরণে উপ-পরিদর্শক প্রণব আচার্য্য জানান, গত ১ আগস্ট কেশবপুর গ্রামের মো. মাইনুদ্দিনের ছোট মেয়ে ছদ্মনাম সোনিয়া আক্তার (১৪) নিখোঁজ হয়। ২ আগস্ট মাইনুদ্দিন তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
মাইনুদ্দিন এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে এসে কৃষি কাজ শুরু করেন। তার দুই মেয়ে দুই ছেলে। নিখোঁজ হওয়া কিশোরী তার দ্বিতীয় মেয়ে।


নিখোঁজ সোনিয়ার বড় বোন মুন্নি। তার সাথে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক তার আপন খালাতো ভাই রকিবুল ইসলামের। বাবা-মা প্রেম মেনে না নেয়ায় তারা পরিকল্পনা করে সোনিয়াকে অপহরণের। অপহরণকারীরা মোবাইলফোনে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। ২৪ লাখ টাকায় রফাদফা হয়। অপহৃত সোনিয়াকে উদ্ধার করতে তিতাস থানার পুলিশের সাথে যোগ দেয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। প্রযুক্তির সহায়তায় কল লিস্টের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে রাকিবুল ইসলামের মা এ ঘটনায় জড়িত। পুলিশ রাকিবের মায়ের সহযোগিতায় গেলো রবিবার গভীর রাতে সোনিয়াকে উদ্ধার করে।

তিতাস থানার ওসি সুধিন চন্দ্র দাস বলেন, দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নেয় তারা মুন্নি ও রাকিবুল ইসলামকে সামাজিকভাবে বিয়ে দেবেন। তাই তারা এই ঘটনায় কোন মামলা দায়ের করবেন না।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ


সূত্র : বিডিপ্রতিদিন