সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষার্থী সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দের জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের দুইমাস পর শাহ সালমান (২৩) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে তাজপুর ইউনিয়নের সুরতপুর গ্রামের কাপ্তান আলমের পুত্র।


বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন।



তিনি জানান- ঘটনাকালীন একাধিক স্থিরচিত্র, ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি সংগ্রহ করে শাহ সালমান সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 


জানা গেছে, গত ৯ জুন দুপুরে তাজপুর ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক মিয়া ও একই কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী কবির মিয়ার মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্ধের জের ধরে ছাত্রলীগদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দুইটার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাজপুর বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষটি এলাকাভিত্তিক ছড়িয়ে পড়লে তারেক আহমদের পক্ষে কাদিপুর গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন ও কবির আহমেদের পক্ষে দিগর গয়াসপুরসহ কাশিপাড়া গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে জরান। সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। 


খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জের মাধ্যমে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে বিকাল ৪ টার দিকে আরেক দফায় প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চলাকালে কয়েকটি যানবাহনও ভাংচুর করা হয়। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ১০ জুন ওসমানীনগর থানার এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২ থেকে ৩’শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/রনিক/মুন্না