(প্রতীকী ছবি)

সিলেট মহানগরীর গ্রাহকদের কাছে সিটি করপোরেশনের পানির বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও সে বিল পরিশোধ করছেন না আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের গ্রাহকরা।

এছাড়া অবৈধ সংযোগের মাধ্যমেও অনেকে পানি ব্যবহার করছেন। একই সাথে মেইন লাইন থেকে সরাসরি শক্তিশালী মোটরের সাহায্যে পানি ঘরে তোলার অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।


সিসিক সূত্র জানায়, পানি বিল আদায়ে গ্রহকদের একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জব্দ কারা হচ্ছে মোটর। তবে তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। 

সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সিলেট মহানগরীতে বর্তমানে আবাসিক সংযোগে প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ডায়ামিটারের (ব্যাস) লাইনে বিল ৩০০ টাকা, পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বিল ৬০০ টাকা এবং এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১ হাজার ২শ টাকা বিল নির্ধারিত।

বাণিজ্যিক সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৭০০ টাকা, পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১১০০ টাকা ও এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ২ হাজার টাকা বিল নির্ধারিত।

প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৭০০ টাকা, পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১১০০ টাকা ও এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ২ হাজার ৫ শ টাকা বিল নির্ধারিত।

এছাড়া সরকারি সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৭০০ টাকা, পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১১০০ টাকা ও এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিল নেয়া হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন পানি সরবরাহ শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর সিলেটভিউ-কে জানান, এ বছর মে মাস পর্যন্ত নগরীতে গ্রাহকদের কাছে সিসি করপোরেশনের ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ২ হাজার ৭ শ ৫ টাকা বকেয়া বিল বকেয়া রয়েছে। এই বিশাল বিলের টাকা উত্তোলনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। বার বার গ্রাহকদের নোটিশ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, অনেকেই মেইন লাইন থেকে ঘরে মোটরের মাধ্যমে পানি তুলে অবৈধভাবে ব্যবহার করেন। এদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগিরই অভিযান শুরু হবে। তবে প্রায় সময় অভিযান চালানো হয়, মোটরও জব্দ করা হয়- কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এবার বড় পরিসরে অভিযান পরিচালিত হবে। 

আলী আকবর আরো জানান, সিলেট মহানগরীতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সরকারি সব মিলিয়ে বৈধ সংযোগ রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি। এদের বেশির ভাগেরই পানির বিল বকেয়া রয়েছে। এর বাইরে কয়েক হাজার অবৈধ সংযোগ রয়েছে। তাদের তালিকা করে নোটিশ দেয়া হচ্ছে। অতি শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত / ডি.আর