‘দেশের মানুষ জানতে চায় জ্বালানি খাতে প্রতিবছর কত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর সঙ্গে কারা জড়িত? তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

 


সরকার বলছে জ্বালানি তেলের মূল্যে ভর্তুকি দিচ্ছে। আসলে কোনো ভর্তুকি দেয়নি সরকার। কয়েক বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাই সাধারণ মানুষ মনে করছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনকে বাঁচাতে সরকার দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না।’

 

শনিবার সন্ধ্যায় গনমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ফিনল্যান্ড শাখার নেতারা এসব কথা বলেন।

 

তারা আরও বলেন বলেন, ‘প্রতিবছর কারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন; তাদের তালিকা জানতে চায় দেশের মানুষ। পাচারকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গেল বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সরকার পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দুর্নীতিবাজ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে সরকার।’

 

ফিনল্যান্ড বিএনপির নেতারা আরো বলেন, ‘ইউরোপ, আমেরিকা আর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে দেওয়া উন্নয়নের নৌকা এখন শ্রীলংকার পথে। দেশের স্বার্থে কথা বললেই সরকারের কিছু নেতা ষড়যন্ত্র খোঁজেন। এখন জনগনের প্রশ্ন, দেশে লোডশেডিং কেন? ডলারের দাম এত বেড়েছে কেন? জ্বালানি তেলের দাম এত বেড়েছে কেন? সারাদিন বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফকে গালাগাল দিয়ে এখন ঋণের জন্য তাদের পেছনে ঘুরছেন কেন? বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি এমন প্রতিষ্ঠানকে বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে শুধু লুটপাটের জন্য। ২০১৪ সাল থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি করে সরকার ৪২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। মুনাফার সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৮৭ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সব লুটপাটের জবাব দিতে হবে।’

 

তারা আরও বলেন, দেশের মানুষ আর টালবাহানার নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে ইভিএমের কারসাজি চলবে না।

 

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন ফিনল্যান্ড বিএনপির নেতা জামান সরকার, মবিন মোহাম্মদ, রুবেল ভূঁইয়া, মোকলেসুর রহমান চপল, বদরুম মনির ফেরদৌস, সামসুল গাজী, মিজানুর রহমান মিঠু, প্রদীপ কুমার সাহা, আলাউদ্দিন আহমেদ, সাহিন মোহাম্মদ, তাপস খান, আবুল কালাম আজাদ, সাজ্জাদ মুন্না, মীর সেলিম, আজহার আলী, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেডএসএম/এসডি-৩০