ছবি: সংগৃহিত।

নামাজের কাতার সোজা রাখার মাপকাঠি কী? সামনের কাতার ফাঁকা রেখে পেছনের কাতারে দাঁড়ানো যাবে? কাতার সোজা করার দায়িত্ব কার? অনেক সময় দেখা যায়, নামাজ শুরু হওয়ার পর সামনের কাতার পূর্ণ করার জন্য কেউ কেউ ডাকাডাকি করেন—এটা কতটুকু শরিয়তসম্মত?

এই প্রশ্ন করেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে হাফিজ মুনশি।


তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ঢাকার গুলশানের বসুমতি এলাকার মা’হাদুল ফিকরিল ইসলাম ‘র গবেষণা বিভাগীয় প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন।

নামাজে কাতারের বিন্যাস যথাযথভাবে করা জরুরি। নিচে প্রশ্নগুলোর জবাব দেওয়া হলো—

এক. কাতারের দাগের ওপর পায়ের গোড়ালি রেখে কাতার সোজা করতে হবে। এটাই বিশুদ্ধ পদ্ধতি। অনেক স্থানে দাগে আঙুল রেখে কাতার সোজা করা হয়, এতে কাতার কখনো সোজা হয় না; বরং যার পা লম্বা সে পেছনে থাকে, আর যার পা খাটো সে সামনে চলে যায়। (আবু দাউদ: ৬৬৭; রদ্দুল মুহতার: ১/৫৬৭)

দুই. কাতার ইমামের ঠিক পেছন থেকে শুরু হয়ে সমানভাবে ডানে-বাঁয়ে বাড়াতে থাকবে। এটাই নিয়ম। অনেকে অবস্থানগত সুবিধা বিবেচনায় সামনের কাতার খালি থাকলেও পেছনের কাতারে দাঁড়ায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো কোনো মাজহাব মতে, এসব ভুলের কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অনেকে মসজিদে আগে এসেও সামনে জায়গা খালি রেখে পেছনে বসে থাকে। এটি অনুচিত। একইভাবে সবার শেষে এসে সামনে খালি না থাকা সত্ত্বেও ঠেলাঠেলি করে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করা অনুচিত। এসব ব্যাপারে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। (মুসলিম: ৪৩০, আবু দাউদ: ৬৭১, তিরমিজি: ৫১২)

তিন. মসজিদে কাতার সোজা করার দায়িত্ব ইমাম সাহেবের বা ইমামের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের। ইমামকেই নামাজ শুরুর আগে কাতার সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নামাজের একামত হচ্ছে, এমন সময় আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের দিকে মুখ করে তাকালেন এবং বললেন, ‘তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নাও এবং মিলে দাঁড়াও। কেননা আমি আমার পেছনে তোমাদের দেখতে পাই।’ (বুখারি: ৭১৯) এ ক্ষেত্রে সাধারণ মুসল্লিদের হইচই করা অনুচিত। এতে মসজিদে নামাজের পরিবেশ নষ্ট হয় এবং মুসল্লিদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে