পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯-তে । সোমবার রাতে এবং ঘটনার তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে আরও ৯ পুণ্যার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইমরানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এর আগে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অর্ধশত মরদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে রাতেই দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরুর পর আউলিয়ার ঘাট এলাকা থেকে এক নারী ও দুই পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা করে উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া দেবীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা আরও চার জনের মরদেহ। এ নিয়ে উদ্ধার করা মরদেহের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯। যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

নৌকা ডুবে যাওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালান বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত উদ্ধার মরদেহের মধ্যে ৫৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি চার জনকে শনাক্ত করা হয়নি। কিছুক্ষণ পরপর মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শনাক্তের পর আমরা তা তালিকাভুক্ত করছি।’

এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- হাশেম আলী (৭০) শ্যামলী রানি (১৪), লক্ষী রানি (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫) শোভা রানি (২৭), দিপঙ্কর (৩) পিয়ন্ত (২.৫) রুপাালি ওরোফে খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫) ধনবালা (৬০) সুনিতা রানি (৬০), ফাল্গুনী (৪৫) প্রমিলা দেবী, জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানি (২৫), সানেকা রানি (৬০), সফলতা রানি (৪০) বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানি ওরফে শিমুলি (৩৫), উশোশি (৮) তনুশ্রী (৫), শ্রেয়সী, প্রিয়ন্তী(৮), সনেকা রানী (৬০), ব্রজেন্দ্র নাথ (৫৫), ঝর্ণা রানী (৪৫), দীপ বাবু (১০), সূচিত্রা (২২), কবিতা রানী (৫০), বেজ্যে বালা (৫০), দিপশিখা রানী (১০), সুব্রত (২), জগদীশ (৩৫), যতি মিম্রয় (১৫), গেন্দা রানী, কনিকা রানী, সূমিত্রা রানী, আদুরী (৫০), পূষ্পা রানী, প্রতিমা রানী (৫০), সূর্যনাথ বর্মন (১২), হরিকেশর বর্মন (৪৫), নিখিল চন্দ্র (৬০), সুশীল চন্দ্র (৬৫), যুথি রানী (০১), রাজমোহন অধিকারী (৬৫), রূপালী রানী (৩৮), প্রদীপ রায় (৩০) এবং পারুল রানী (৩২),প্রতিমা রানী (৩৯), বিষনু (৩)।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোলেমান আলী বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। লাশ শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৪