সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরৎকালে এই পূজা হয় বলে একে শারদীয় দুর্গোৎসব বলা হয়। দুর্গোৎসবকে ঘিরে গোয়াইঘাটের সর্বত্র চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

এবছর গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৩৬টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালিত হবে। এর মধ্যে রুস্তমপুর ইউনিয়নে ৪টি হলো হাদারপার পূজামন্ডপ, গোরাগ্রাম পূজামন্ডপ, বীরমঙ্গল হাওর পূজামন্ডপ, কুনকিরি পূজামন্ডপ, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে ২টি হলো- উত্তর প্রতাপপুর পূজামন্ডপ ও দক্ষিণ প্রতাপপুর পূজামন্ডপ, পুর্ব জাফলং ইউনিয়নে হল ২টি হলো- পাথরটিলা মামার দোকান পূজামন্ডপ ও নলজুরী পূজামন্ডপ, লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের গুরকচি দুর্গা পূজামন্ডপ, পুর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে ২টি হলো- খাগড়া পূজামন্ডপ ও ফাদলিপুর পূজামন্ডপ, ফতেহপুর ইউনিয়নে ৪টি হলো- গুলনি চা-বাগান পূজামন্ডপ, গুলনি চা-বাগান নতুন লাইন পূজামন্ডপ, রাম নগর পূজামন্ডপ ও মালগ্রাম মন্দির পূজামন্ডপ, নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে ৬টি হলো- জলুরমুখ পূজামন্ডপ, দ্বারিরপার পূজামন্ডপ, নওয়াগাঁও পূজা মান্ডপ, নন্দীরগাঁও মানাউরা পূজামন্ডপ, মিত্রিমহল পূজামন্ডপ ও চৌধুরী কান্দি পূজামন্ডপ, তোয়াকুল ইউনিয়নে ৫টি হলো- শাহপুর পূজামন্ডপ, চদিবদি হাওর (কর্নদা দাশের বাড়ি) পূজামন্ডপ, চদিবদি হাওর (যতিন্দ্র বিশ্বাসের বাড়ি) পূজামন্ডপ, পশ্চিম পেকেরখাল পূজামন্ডপ ও তুড়ুকবাগ হাওর পূজামন্ডপ, ডৌবাড়ি ইউনিয়নে ৪টি হলো- কামাইদ (কালিবাড়ি) পূজামন্ডপ, শ্রীনাথপুর পূজামন্ডপ, গৌরীপুর পূজামন্ডপ ও কামাইদ রাধাকৃষ্ণ পূজামন্ডপ, পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে গারো নরসিংহ জিউর আখড়া পূজামন্ডপ, মধ্য জাফলং ইউনিয়নে ৩টি হলো রাধানগর শিব বাড়ি পূজামন্ডপ, জাফলং চা-বাগান পূজামন্ডপ ও সংগ্রামপুঞ্জি পূজামন্ডপ, সদর ইউনিয়নে ২টি হলো- গোয়াইনঘাট শিববাড়ি পূজামন্ডপ ও লুনি (সুব্রত বাবুর বাড়ি) পূজামন্ডপ।



বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল ছানা ও সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ দাশ জানান, গোয়াইনঘাটে এবার ৩৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। অতিরিক্ত লোক সমাগমের কারণে ৩/৪টি মন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলা কিংবা কোন অপ্রীতির ঘটনার কোন আশংকা নেই। অতীতেও এরকম কোন সমস্যা হয়নি, আমরা গোয়াইনঘাটবাসী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম জানান, পূজা উৎসব সফল করতে ইতিমধ্যে যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ সকল মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় এবং সমন্বয় হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। ১২টি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দর ও সাফল্য মন্ডিত করতে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করা হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৬