মাঝ সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ২০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। একদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর দাপট, তার মধ্যেই গত মঙ্গলবার মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থায় ছিল বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। এসময় উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক জল সীমান্তবর্তী এলাকায় ভাসমান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। 

বুধবার ভারতীয় কোস্টগার্ডের সিনিয়র পাবলিক রিলেশন অফিসার বিবেক শর্মা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পরে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার আন্তর্জাতিক জলসীমান্তের কাছে ডর্নিয়ার বিমানে রুটিন টহল চালাচ্ছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এসময় পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভাঙ্গা অংশ ধরে ভাসমান অবস্থায় একাধিক মানুষকে ভাসতে দেখেন তারা। তাদের উদ্দেশ্যে দ্রুত ছুড়ে দেয়া হয় লাইফ বোট। এরপর ভারতের কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় আশেপাশের থাকা জাহাজগুলো সঙ্গে। যোগাযোগে দ্রুত সাড়া দেয় নামতা ভূম (Nanta Bhum) নামে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে জাহাজটি। জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট কালাং থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে আসছিল। 


পরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ এই সি জি বিজয়, ভরত তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয়। দীর্ঘসময় খাদ্য ও পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া বাংলাদেশি এইসব মৎসজীবীদের এরপরেই দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। ফিটনেসের জন্য কোস্টগার্ডের জাহাজে থাকা একজন মেডিকেল অফিসার দ্বারা তাদের শারিরীক পরীক্ষা করা হয়। সেই সাথে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সঙ্গে। 


বিবেক শর্মা জানান, আপাতত এই মৎস্যজীবীদের পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ চলছে। দুই কোস্টগার্ডের মধ্যে এই সম্পর্কিত চুক্তির আওতায় ওই মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান হয়েছে বিবৃতিতে। 

তবে এখনও পর্যন্ত কোন রকম নিখোঁজের খবর না থাকলেও ভারতীয় কোস্টগার্ড এখনো আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্ঘটনা এড়াতে তাদের তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-০৪


সূত্র : বিডি-প্রতিদিন