বিশ্বকাপের আগেই উদযাপনের জন্য দশটি নাচ ঠিক করে রেখেছিল ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে গোলের পর তেমন দৃশ্য না দেখালেও নকআউট পর্বে চিরায়ত ব্রাজিলিয়ান নাচ দেখা গেল বেশ কয়েকবার। খেলোয়াড়রা তো বটেই, নাচলেন কোচ তিতেও। প্রতি গোলের পর এভাবে নাচায় সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা রয় কিন আবার মেতে উঠলেন সমালোচনায়। তার মতে এরকম নাচ প্রতিপক্ষকে 'অসম্মান' করা। সংবাদ সম্মেলনে এই নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন কোচ তিতে।

সোমবার রাতে কাতারের 'স্টেডিয়াম ৯৭৪' হয়ে উঠে হলুদে ভাস্বর। ৩৬ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে চারবার বল পাঠিয়ে দেয় ব্রাজিল। পরে আগ গোল না করলেও প্রতিপক্ষের উপর দেখাতে থাকে দাপট।


৪-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচ আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল ব্রাজিল, উদযাপনে সেটা বোঝা গেছে স্পষ্ট।

প্রতি গোলের পরই নেইমার, রিচার্লিসনরা এক হয়ে দেখান দারুণ সব নৃত্য। রিচার্লিসনের করা তৃতীয় গোলের পর উত্তেজনায় নেচে উঠেন কোচ তিতেও।

নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত কারণেই নাচ ব্রাজিলের একটি অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার। ফুটবল খেলাটাও তারা মনের আনন্দ, শরীর দুলিয়ে খেলতে পছন্দ করে।

তবে বিশ্বকাপের ম্যাচে বারবার নেচে উঠাকে ভালো চোখে নিলেন না রয় কিন। আয়ারল্যান্ডের সাবেক এই তারকা ইংল্যান্ডের আইটিভির আলোচনায় মাতেন সমালোচনায়, 'প্রতি গোলের পর এভাবে উদযাপন প্রতিপক্ষের জন্য অপমানজনক। একটা গোলে নাচলে ঠিকাছে, প্রতি গোলের পর না। তাদের কোচও সেখানে যোগ দিলেন। এটা ভালো লাগেনি।'


'বলা হয় এটা নাকি তাদের সংস্কৃতি। আমার তো মনে হয় এটা প্রতিপক্ষকে অসম্মান করা।'

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিতে বিনয়ের সঙ্গে জানান, কেবল নিজেদের সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্য ছিল তাদের, প্রতিপক্ষের প্রতি নেই বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা, 'দেখুন নিজেদের সফলতা প্রকাশ করা ছাড়া এই উদযাপনের আর কোন লক্ষ্য ছিল না। দলের জন্য আনন্দ, পারফরমেন্সের খুশি কেবল আছে আর কিছু না। প্রতিপক্ষ , প্রতিপক্ষের কোচ পাওলো বেন্তোকে আমি সম্মান করি।'

নিজের নাচ সম্পর্কে তিতে ব্যাখ্যায় জানান তরুণ তারকাদের সঙ্গে একাত্ম হতে চেয়েছিলেন তিনি, স্রেফ এটুকুই, 'ছেলেরা খুবই তরুণ, আমি চেষ্টা করি ওদের সঙ্গে একাত্ম হতে। আমাদের ফুটবলের চরিত্র ও মানিসকতার সঙ্গে যায় ওই নাচ।'


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৯