আমার ভাই কেন্দ্রীয় সংসদ ছাত্রলীগের কি হবে না হবে জানি না, আদৌ সদস্য হতে পারবে কিনা তাও জানি না। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েই সে ইতোমধ্যে একটি বিরল রেকর্ডের অধিকারী হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পর কুলাউড়ার প্রথম কোনো ছাত্রলীগ নেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিল।

উল্লেখ্য সাইদুল ইসলাম ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিত ছিল কারণ সেসহ সিলেটের অনেকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুলাউড়া পার্শ্ববর্তী জুড়ী উপজেলার কৃতিসন্তান এসএম জাকির হোসাইনের অনুসারী বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্রে সিন্ডিকেটবিরোধী ঝড়ে শোভন-রাব্বানী নেতৃত্বে চলে আসে এবং অনেক সম্ভাবনাময়ী ছাত্রনেতা কোটা পদ্ধতির কারণে বঞ্চিত হয়। শোভনের আপন ছোট ভাই মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী থেকে সরাসরি বনে যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, রাব্বানীর এক জেলা মাদারীপুর থেকে কেন্দ্রে স্থান পায় ২২-২৩ জন নেতাকর্মী। রানিং কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদককে অনুসরণ করা দোষের কি হলো তা আজও বুঝতে পারলাম না! অথচ এরপরের কমিটিতে কেউ হলো শোভনের অনুসারী এবং বাকিরা হলো রাব্বানী অনুসারী; সর্বশেষ জয়-লেখকের অনুসারী।


 

অথচ অন্য অনেকের মতো সাইদুলের প্রথম পদ ভার্সিটিতে নয় বরং সে আমাদের বরমচাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ২০১৪ সালে গঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিল। এরপর ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, হলের ক্যান্ডিডেট (আবারও বঞ্চিত), ঢাবি ছাত্রলীগের উপ-নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক (হাসান-প্রিন্স) এবং সর্বশেষ সংযোজনে ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি (সঞ্জিত- সাদ্দাম)।

এলাকায় আমি সুলতান ভাই (মাননীয় সাংসদ) বিরোধী বলয়ের লোক হিসেবে পরিচিত তবুও কেন উনার উদাহরণ টানলাম? তিনির গত নির্বাচনের বিতর্কিত ভূমিকা জেনেও কেন লিখলাম সেসব নাহয় অন্যদিন লিখবো। শুধু বলে রাখি, উদাহরণটি প্রাসঙ্গিক বলেই লিখেছি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়। খেয়াল করে দেখবেন আমি কিন্তু উনার পরবর্তীতে সাংসদ হওয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক হওয়া সেসব নিয়ে কোনো কিছু লিখি নাই কারণ প্রাসঙ্গিক নয়।


/পিডি