ছবি: সংগৃহিত।

দান-খয়রাত ও সদকা-জাকাত ইসলামে বিধিবদ্ধ ইবাদত। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে দানের কথাটি সালাত বা নামাজের মতোই বিরাশিবার উল্লেখ হয়েছে।

মানুষকে দান করলে আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দেন। সদকার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে। দান করলে বিপদ ও রোগ থেকে মুক্তি ঘটে। বেশি সওয়াব পাওয়ার উপায় বেশি দান করা। দানের সওয়াব বিফলে যায় না।


সুরা বাকারায় ২৭২ নম্বর আয়াতে আছে, তাদের সৎ পথ গ্রহণের দায় তোমার নয়, বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎ পথে পরিচালিত করেন। আর তোমরা যা কিছু দান কর, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তা কর। আর যা কিছু তোমরা দান কর, তার পুরস্কার পুরো করে দেওয়া হবে। তোমাদের ওপর অন্যায় করা হবে না।

সুরা বাকারার ২৭৪ নম্বর আয়াতে আবার বলা হয়েছে, ‘যেসব লোক রাতে বা দিনে গোপনে বা প্রকাশ্যে তাদের ধনসম্পদ দান করে, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার রয়েছে। তাই তাদের কোনো ভয় নেই ও তারা কোনো দুঃখও পাবে না।’

দান–খয়রাত প্রকাশ্যেও করা যায়, গোপনেও করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে করো, তবে তা উত্তম; আর যদি তা গোপনে করো এবং অভাবীদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য শ্রেয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের মন্দগুলো মোচন করে দেবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা অবগত আছেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৭১)।

দান করে খোঁটা দিতে নেই। এতে দানের ফজিলত বিনষ্ট হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সদ্ব্যবহার, সুন্দর কথা ওই দান অপেক্ষা উত্তম, যার পেছনে আসে যন্ত্রণা। আল্লাহ তাআলা ঐশ্বর্যশালী ও পরম সহিষ্ণু। হে মুমিনগণ! তোমরা খোঁটা দিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমাদের দানকে বাতিল কোরো না। তাদের মতো যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে লোকদেখানোর জন্য এবং তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩-২৬৪)।

নবীজি (সা.) বলেন, ‘খোঁটাদানকারী বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি)।

দান–সদকার জন্য কিছু অনুসরণীয় বিষয়:

• অপরের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন
• রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করুন
• সন্তানদের দান করার শিক্ষা দিন, যাতে তারা ছোট থেকেই দান-সদকার গুরুত্ব বুঝতে পারে
• পাখিদের জন্য বাসার বারান্দায় একটি বাটিতে পানি রেখে দিন, এটিও একধরনের সদকা
• তীব্র শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষদের কম্বল ও চাদর দিন
• অন্যদের সদকা করতে উৎসাহিত করুন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে