মাগুরায় চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রের পায়ে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার সজিব মোল্লাকে (১২) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত সজীব ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্লার ছেলে।
সজিবের বাবা কোহিনুর মোল্লা বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে আমার ছেলে ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এসময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে আটক করে দোকানের ভেতর নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করেন। তারা সজীবের পায়ে পেরেক পুতে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় শালিখা থানা পুলিশের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে ভিডিও ধারণ করে চোরের স্বীকারোক্তি নিয়েছে তারা।
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা বলেন, সজিবের অবস্থা গুরুতর। তার পায়ে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শালিখা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. বিশারুল ইসলাম বলেন, চুরি সন্দেহে সজীব নামের ছেলেটিকে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন সংবাদ পায় পুলিশ। শালিখা থানা পুলিশ ছেলেটিকে উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক হাসানকে শুক্রবার রাতেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৫
সূত্র : ঢাকা মেইল