মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক নন্দিত প্রকাশ। যান্ত্রিক যুগে যখন আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি, তখন আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘লোকজ এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে বাঙালির পিঠা পার্বণের আনন্দধারায় যুক্ত হতে পেরে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি যারপরনাই আনন্দিত। এ ধারা নিরন্তর অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার পাশাপাশি সহকার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উৎকর্ষ সাধনে নানা পরিকল্পনা রয়েছে ইউনিভার্সিটির।’


সিলেট বিভাগের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ আয়োজিত দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার দিনভর বটেশ্বরস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব হয়। এরপর বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এম ও রহমান চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মানবসম্পদে পরিণত করতে। নিজ সংস্কৃতি চর্চায় বিমূখ জাতি বিশ্বে করে টিকে থাকতে পারে না।’

উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শিব প্রসাদ সেন  এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ, উৎসবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান ইয়াজদানি রাজুসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

পিঠা উৎসবে মধুপুলি, বিবিখানা, আমদশা, সন্দেশ, চন্দ্রপুলি, দুধপুলি, দুধচিতই, ফুলঝুরি, লবঙ্গ লতিকা, ক্ষীরপুলি  নামের দশটি স্টল অংশগ্রহণ করে। এ সকল স্টলে ছিল চন্দ্রপুলি, পাকুয়ান, মধুপুলি, ফুলঝুরি, দুধ সন্দেশ, পানতোয়া, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, নারিকেল পিঠা, দুধপুলি, নারিকেল সন্দেশ, পুলি পিঠা, চই পিঠা, জামাই পিঠা, গোলাপ পিঠা, চিতল পিঠাসহ আরও নানারকম পিঠার সমাহার। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ আয়োজনকে শীতের আমেজে উপভোগ করেন।

উৎসবে অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার অর্জন করে যথাক্রমে সন্দেশ, মধুফুলি ও ফুলঝুড়ি। দুধ চিতই স্টল থেকে ক্রেতাদের জন্য লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হন ব্যবসায প্রশাসন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার উর্মি ঘোষ, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী সঙ্গীত শিল্পী তশিবা, তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহেল এবং চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী হন ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেবাশীষ রায়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে