হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ভাটী সমীপুর (কুমারহাটি) গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত ৩ দিন যাবত অবস্থান করছেন প্রেমিকা।

 


শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অবস্থান করলেও কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি উভয় পক্ষ। বিষয়টি নিস্পত্তি করতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় পক্ষ বৈঠকে বসলেও বিষয়টি মিমাংসা হয়নি।

 

প্রেমিকার দাবি প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিক একাধিকবার তার সাথে শারিরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আজমিরগঞ্জ থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

 

জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ভাট গাঁও গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার সাথে আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার সমীপুর কুমার হাটি গ্রামের বাসিন্দা লুতু মিয়ার পুত্র শফিকুল এর সাথে বিগত এক বছর যাবত  প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। গত তিনমাস যাবত প্রেমিকা  শফিকুলকে  বিয়ের জন্য চাপ দিলে শফিকুল নানা টালবাহানা শুরু করেন। উপায়ন্তর না দেখে গত ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকালে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় প্রেমিকা।

 

তার দাবি বিয়ে না হলে সে প্রেমিকের বাড়ি থেকে এক পা ও নড়বেন না।

৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ রায় বলেন, একমাস আগে মেয়েটি শফিকুলের বাড়িতে আসে এবং বিস্তারিত বলে তখন আমি বলেছি তোমার পরিবার নিয়ে আস বিষয়টি মীমাংসা করে দেব। বর্তমানে আমি ঢাকা থেকে আসতেছি। তবে শুনেছি মেয়েটি আবার শফিকুলের বাড়িতে এসেছে।

 

আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মোবারুল জানান, বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের পরিবার নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে মেয়ের পরিবার মেয়ের বিষয়ে কিছু বলতে চান না তারা বলেন মেয়ে কি করবে না করবে এটা মেয়ের ব্যপার। আর ছেলের পরিবারের দাবি একটু সময় দিলে বিয়ের আয়োজন করবেন তারা।

 

আজমিরীগঞ্জ থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। মেয়ের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে তারা সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় জিডি করে কাগজপত্র নিয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মিলাদ/এসডি-৩০